ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শাসন ক্ষমতার দুই বছরে প্রায় ৪০টি বিদেশ সফর করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতকে শক্তিশালী করে তুলতে প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। অার এরই ধারাবাহিকতায় এবার তার জন্য নির্ধারিত হচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়ার স্পেশাল বিমান।
মোদির বিদেশ সফরের এই বিশেষ বিমানের বৈশিষ্ট্য হলো এটা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে চূড়ান্ত শক্তিশালী হবে। এতে থাকছে কমিউনিকেশন সিস্টেমের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, সেই সঙ্গে থাকছে শত্রুর নজর এড়ানোর হাজারো ব্যবস্থা।
‘ব়্যাডার ওয়ার্নিং রিসিভারস’ এবং ‘মিসাইল অ্যাপ্রোচ ওয়ার্নিং’ সিস্টেমও থাকছে এই বিমানে। যেহেতু বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর টার্গেটে আছেন নরেন্দ্র মোদি, তাই নিরাপত্তা জোরালো করা হচ্ছে। এই দুই পদ্ধতির মাধ্যমে সহজেই বোঝা যাবে কোনো শত্রুপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর বিমানের দিকে এগিয়ে আসছে কি না। অর্থাৎ এই বিমান মিসাইলও প্রতিরোধ করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্য নির্ধারিত এই বিশেষ বিমানে অন্তত ২০০০ জনের খাবার মজুত রাখা হবে। অপারেশন থিয়েটারও থাকবে যেখানে জরুরি ভিত্তিতে সার্জারিও সম্ভব। ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা পরিষেবার পাশাপাশি সাজানো গোছানো বেডরুমও থাকছে। বিমানের বিশেষ ব্যবস্থায় জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে আকাশপথেই তা পুনরায় পূর্ণ করে নেওয়া যাবে।
ভিভিআইপি ক্যাটাগরির এই বিশেষ বোয়িং বিমানে সবরকম অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও সুবিধা রাখা হচ্ছে। বিদেশ সফর চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী যাতে কোনো অসুবিধায় না পড়েন এবং তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সমস্যা যেন না দেখা দেয়, সে কারণেই এই বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে তাঁর জন্য।
আগামী ২৫ জুন ‘ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল-এর পরবর্তী বৈঠক। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর জন্য এই বিশেষ বিমান চাইবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিক্কর।
বিডি -প্রতিদিন/ ২১ জুন, ২০১৬/ আফরোজ