ক্যারিবীয় অঞ্চলের দরিদ্র দেশ হাইতিতে ২০১০ সালে কলেরা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়লে, তাতে দশ হাজার মানুষ মারা যায়। সে সময় প্রায় ছয় লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়। প্রথমবারের মত অভ্যন্তরীণ এক প্রতিবেদনে ওই কলেরার জন্য নিজের দায় স্বীকার করে নিয়েছে জাতিসংঘ।
প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, ওই ঘটনায় সংস্থার অবস্থান ছিল ''নৈতিকভাবে বিবেকবর্জিত এবং আইনত অসমর্থনীয়''।
বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বারবারই দাবি করা হয়েছে, হাইতিতে কর্মরত জাতিসংঘের নেপালি শান্তিরক্ষী বাহিনীর দুর্বল পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার কারণেই কলেরা আক্রান্ত নেপালি সেনাদের মাধ্যমে হাইতিতে কলেরার জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর একটি ঘাঁটির পয়ঃনিষ্কাশন পাইপ ফেটে হাইতিতে কলেরা ছড়িয়ে পড়েছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।
কিন্তু জাতিসংঘ বরাবরই তা অস্বীকার করে এসেছে। এছাড়া এ নিয়ে সংস্থার নিজস্ব কোন পর্যবেক্ষণও এতদিন পর্যন্ত জানা যায়নি।
যদিও জাতিসংঘ এখনো আইনগত জায়গায় নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেনি—যেখানে বলা হচ্ছে, ১৯৪৭ সালের জাতিসংঘ চার্টার অনুযায়ী সব ধরণের দায় থেকে জাতিসংঘ মুক্ত হওয়ায়, সংস্থাটি নিহতদের পরিবারগুলোকে কোনরকম ক্ষতিপূরণ দেবে না।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ