সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক নারীর সঙ্গে স্বামী অ্যান্থনি ওয়েইনারের যৌন কেলেঙ্কারির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সোমবার তার সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন হুমা আবেদিন। প্রভাবশালী এই ডেমোক্র্যাট দম্পতি আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ঘনিষ্ট। হিলারি শিবিরের একজন শীর্ষ সহযোগী হুমা। এই বিবাহ-বিচ্ছেদের ঘটনাটিকেই মার্কিন পত্রিকা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস তাদের প্রধান শিরোনাম করেছে।
টুইটারে এক নারীর সঙ্গে অ্যান্থনি ওয়েইনারের যৌন কেলেঙ্কারির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবং হুমা আবেদিনকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। ২০১৫ সালের জুলাইয়ের দিকে ওই নারীর সঙ্গে অ্যান্থনির এসব আপত্তিকর টুইট আদানপ্রদান হয়েছিল। টুইটারে তিনি ওই নারীকে 'আপত্তিকর' ছবি ও এসএমএস পাঠান। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন হুমা।
অ্যান্থনির ওই টুইটার অ্যাকাউন্টটি অবশ্য এরইমধ্যে ডিলিট করে ফেলা হয়েছে। এর আগে আরেক যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর ২০১১ সালের জুনে তিনি কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন।
সোমবার এক বিবৃতিতে হুমা আবেদিন বলেন, ''দীর্ঘ সময় ও কষ্টকর চিন্তাভাবনার পর আমি স্বামীর কাছ থেকে পৃথক হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের জীবনের আলো একমাত্র সন্তানের জন্য যা মঙ্গলজনক, তা করার জন্য অ্যান্থনি ও আমি খুবই নিবেদিত। এ জটিল সময়ে আমাদের ব্যক্তিগত বিষয়ের প্রতি সবাইকে সম্মান জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি।''
এদিকে হুমার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ''হুমা আবেদিন একটি ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি অ্যান্থনি ওয়েইনারকে ভালোভাবে চিনি। তাকে ছাড়া হুমা অনেক বেশি ভাল থাকবেন।''
২০১০ সালে অ্যান্থনি ওয়েইনারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন হুমা আবেদিন। স্বামীর যৌন কেলেঙ্কারির কথা জেনেও একসঙ্গে সংসার করছেন প্রায় ছয় বছর। ২০১১ ও ২০১৩ সালে দু'বার তার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনেও স্বামীকে ছেড়ে যাননি হুমা আবেদিন।
ওই বিবৃতিতে হুমা আরও বলেন, ''বিবাহিত জীবন নিয়ে দীর্ঘ সময় বেদনাময় সময় কাটিয়েছি। এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি স্বামীর কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার। আমাদের ছেলের যাতে ভালো হয়, সেজন্য আত্মনিয়োগ করেছিলাম আমি ও অ্যান্থনি। ওই ছেলেটিই আমাদের জীবনের আলো। তাই এই কঠিন সময়গুলোতে আমরা গোপনীয়তার প্রতি সম্মান দেখিয়েছি।''
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ