সিঙ্গাপুরে ১৩ জন ভারতীয় প্রবাসীর রক্তে জিকা ভাইরাস পাওয়া গেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ এ তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানান, তাদের মিশন অনুযায়ী রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জন সিঙ্গাপুর নিবাসী ভারতীয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে যাদের রক্তে এই ভাইরাস ধরা পড়েছে৷খবর সংবাদ প্রতিদিনের।
আমেরিকার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, গর্ভাবস্থায়ে মা জিকায় আক্রান্ত হলে ভ্রুণের মাইক্রোসেফালি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যা পরবর্তীকালে শিশুর মানসিক ও শারীরিক বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। বৃহস্পতিবার সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, ইতোমধ্যে ১১৫ জন আক্রান্তদের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারীর রক্তের নমুনায় ভাইরাস পাওয়া গেছে। ওই দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট এজেন্সি দাবি করেছে, আক্রান্ত নারী সিমস ড্রাইভ বা আলজুনিড ক্রেসেন্ট নামক জিকা ভাইরাস কবলিত শিল্পাঞ্চলে বসবাস করছিলেন। তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বুধবার। ওই নারীর বাড়ির আরেক সদস্যও একই রোগে আক্রান্ত বলে জানা গেছে।
আমেরিকা প্রশাসন তাদের দেশের গর্ভবতী নারীদের সতর্ক করেছে সিঙ্গাপুর যাওয়া নিয়ে। পাশাপাশি অন্যান্য দেশও তাদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে। যদিও একমাস আগে সিঙ্গাপুরে ৪৭ বছরের এক নারী জিকায় আক্রান্ত হয় কিন্তু তিনি বাইরে কোথাও যাননি বলে সিঙ্গাপুরেই এই ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে এমওএইচ ও এনইএ।
এর আগে সিঙ্গাপুরে জিকা ভাইরাস আক্রান্ত ৬ বাংলাদেশিকে সনাক্ত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দেশটিতে নিযুক্ত হাইকমিশনার মাহবুব উজ জামান জানান, সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, মশাবাহিত ভাইরাসটি শনাক্তে যে ক'জনের পরীক্ষা হয়েছে, তার মধ্যে ৬ বাংলাদেশি পজিটিভ প্রমাণ হয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা জেনেছি এদের মধ্যে ভাইরাসের সামান্য লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তবে এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে অনেকে সুস্থ হয়েছেন এবং হচ্ছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ