২০ বছর ধরে প্রায় পাঁচ হাজার নারী পাচার করে কোটি টাকার মালিক হয়েছে দিল্লির এক দম্পতি। শুধু নারী পাচারই নয়, আফাক হোসেন (৫০) ও সাইরা বেগম (৪৫) নামে ওই দম্পতি জোর করে মহিলাদের যৌনপেশায় নামানোর কাজও করেন। সম্প্রতি পাঁচ সহযোগীসহ তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আফাক ও সাইরা দম্পতির বাসায় তল্লাশি চালানোর সময় নয় লাখ টাকা ও বেশ কয়েকটি নামীদামি গাড়ি জব্দ করে পুলিশ। জানা গেছে, বেঙ্গালুরুর সম্পত্তি বিক্রি করে সম্প্রতি দিল্লিতে একটি ফার্ম হাউজ কেনেন ওই দম্পতি। দম্পতির কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সের হদিশও পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আফাকের স্ত্রী সায়রাও আগে যৌনকর্মী ছিলেন। এক পতিতালয়ে আফাকের সঙ্গে দেখা হয় তার। ১৯৯৯ সালে বিয়ে করে তারা। দিল্লির রেড লাইট এলাকা জিবি রোডে মেয়ে পাচারের মূলহোতা আফাক ও সাইরা হোসেন। তাদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে তিনটি পতিতালয় চালানোর অভিযোগ রয়েছে। নেপাল, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মেয়ে এনে জোর করে যৌনপেশায় নামায় এই দম্পতি। ৫০ থেকে দু’লাখ টাকা দাম দিয়ে মেয়েদের কেনা হতো। কোনো মেয়ে রাজি না হলে টানেলের মতো একটি ঘরে রেখে পশুর মত আচরণ করা হয় তার সঙ্গে।
এর আগেও অবশ্য বেশ কয়েকবার একই অভিযোগে গ্রেফতার হন তারা। তবে নারী পাচার নিয়ে ভারতে জোরালো আইন না থাকায় সহজেই জামিন পেয়ে যায় তারা। পুলিশ জানায়, এবার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যাতে তারা সহজে জামিন না পান। সূত্র : কোলকাতা নিউজ ২৪
বিডি প্রতিদিন/ ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ ফারজানা