মার্কিন সামরিক বাহিনী ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ঘূর্ণিঝড় কবলিত হাইতির দক্ষিণাঞ্চলে ত্রাণ সরবরাহ জোরদার করেছে। তবে সড়ক ও অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছন্ন হয়ে পড়ায় এবং অনাহারে থাকা স্থানীয় লোকজনের বাধার কারণে ত্রাণ সরবরাহ প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে।
হারিকেন ম্যাথিউয়ের আঘাতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় তিবুরোন উপদ্বীপ লণ্ডভণ্ড হওয়ার এক সপ্তাহ পরও সাহায্য না পাওয়ায় হাইতির অনেক নাগরিক বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছে। তাদের অনেকে ত্রাণের আশায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
জেরেমির উপকণ্ঠে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর জাতিসংঘ স্বাস্থ্য সংস্থার কাউন্টি প্রতিনিধি জিয়ান-লুক পন্সেলেট বলেন, ‘হাইতির নাগরিকদের এমন হতাশার কারণ আমি বুঝেছি। তবে হাইতির দক্ষিণ ও পশ্চিম উপদ্বীপে এ ঝড়ের আঘাত খুবই ভয়াবহ ছিল।'
তিনি এএফপিকে বলেন, সড়কসহ বিভিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সেখানে ত্রাণ সরবরাহ বিলম্বিত হচ্ছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি হাইতিতে ত্রাণ সরবরাহের ক্ষেত্রে একই ধরণের জটিলতার কথা উল্লেখ করেছে।
এদিকে জাতিসংঘ জানায়, হাইতির প্রায় ১৪ লাখ লোকের জরুরি ত্রাণ সাহায্য প্রয়োজন।
হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে মার্কিন সামরিক হেলিকপ্টারের সাহায্যে ইতোমধ্যে ৪৭ মেট্রিক টন ত্রাণ আনা হয়েছে। ইউএসএইডের এসব ত্রাণ জেরেমি বিমানবন্দরে মার্কিন সামরিক হেলিকপ্টার থেকে নামানো হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ ১১ অক্টোবর ২০১৬/ এনায়েত করিম