কাশ্মীর উপত্যকার পাশাপাশি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চেয়েছে পাকিস্তান। সেটা একটা মূর্তি, যার বর্তমানে দিল্লির ন্যাশনাল মিউজিয়ামে আছে। ১৯২৬ সালে মহেঞ্জোদারোতে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যে পাওয়া যায় এই মূর্তিটি। সত্যিই নর্তকী কি না জানা যায় না। তবু মূর্তিটি ‘ডান্সিং গার্ল’ হিসেবেই সবার কাছে পরিচিত। খবর এবেলার।
লাহোর হাই কোর্টে পাকিস্তানি আইনজীবী জাবভেদ ইকবাল জাফেরি পিটিশন দায়ের করেছেন এই মর্মে যে, সরকার যেন শিগগির ভারত থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
ওই মূর্তিটি ভারতবাসীর কাছেও পরিচিত। সিন্ধু সভ্যতার অন্যতম অভিজ্ঞান এই ‘নর্তকী’ মূর্তি। ১০.৫ সেন্টিমিটার উচ্চতার এই মূর্তিটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব কিন্তু অসীম। এই মূর্তিটি থেকেই অনুমান করা হয় সিন্ধু সভ্যতার ধর্মবিশ্বাস ও সংস্কৃতি। বিশ্বখ্যাত প্রত্নবিদরাও এই মূর্তির শিল্পসৌকর্যকে সাধুবাদ দিয়ে এসেছেন। ব্রোঞ্জ-নির্মিত এই মূর্তিটিই জানায় সিন্ধু সভ্যতায় ধাতুশিল্প কতটা উন্নত ছিল।
লাহোরের আইনজীবী জাবভেদ ইকবাল জাফেরির বক্তব্য, এই মূর্তি লাহোর মিউজিয়ামের সম্পত্তি। ৬০ বছর আগে দিল্লির ন্যাশনাল আর্টস কাউন্সিল মূর্তিটি ভারতে নিয়ে আসে। কিন্তু তার পর থেকে আর তা ফিরে আসেনি পাকিস্তানের মাটিতে।
পাকিস্তানের ন্যাশনাল মিউজিয়ামের ডিরেক্টর জেনারেল জামাল শাহ জানিয়েছেন, ইউনেসকোর কাছে তারা মূর্তিটি ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সাহায্য চেয়ে আবেদন জানাবেন। কারণ, এই মূর্তি পাকিস্তানের ঐতিহ্য।
বিডি প্রতিদিন/১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ফারজানা