ফ্রান্সের ঐতিহাসিক জেবিপি মোরে সম্প্রতি ফ্রান্সের এক গোপন রিপোর্ট পেয়েছেন। ন্যাশনাল আর্কাইভ থেকে পাওয়া ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার সময়ও তিনি বেঁচে ছিলেন।
মোরে জানিয়েছেন, ওই নথিতে কোথাও উল্লেখ নেই যে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছে। বরং বলা হয়েছে, ১৯৪৭-এর ডিসেম্বরেও তিনি নিখোঁজ। অর্থাৎ, ৪৫-এর অগাস্টে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুর কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
মোরে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, ৪৭-এর ১১ ডিসেম্বর যখন তার সন্ধান চলছে তখনও তাকে মৃত বলে ধরা হয়নি। 'আর্কাইভাল ইনফরমেশন অন সুভাষ চন্দ্র বোস' শিরোনামের ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, নেতাজি ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স লিগের প্রাক্তন প্রধান ও জাপানি সংগঠন ‘হিকারি কিকান’-এর সদস্য। তিনি ভারত থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তবে কীভাবে তা ব্যাখ্যা করা হয়নি।
ব্রিটেনে ও জাপান বিমান দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করলেও ফ্রান্স বরাবরই এই ইস্যুতে নিশ্চুপ থাকে। সাইগন থেকে টোকিওর দিকে যাওয়ার পথেই দুর্ঘটনায় নেতাজি মারা যান বলে জানা যায়। তবে ফরাসি এই রিপোর্টকে গুরুত্ব দিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে তিনটি কমিশন গঠন করেছে ভারত সরকার। এর মধ্যে ১৯৫৬-র শাহনওয়াজ কমিটি ও ১৯৭০-এর খোসলা কমিশন বলেছে, ১৯৪৫-এর ১৮ অগাস্ট বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে সুভাষচন্দ্র বসুর।১৯৯৯-এর মুখার্জি কমিশন বলছে, নেতাজির মৃত্যু কোনও বিমান দুর্ঘটনায় হয়নি। মুখার্জি কমিশনের এই ব্যাখ্যা প্রত্যাখান করেছে সরকার।
বিডি প্রতিদিন/১৬ জুলাই, ২০১৭/ফারজানা