ভারতে ক্রমেই বেড়ে চলেছে উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেদিকেই এত বেশি নজর দিয়েছেন যে, তিনি অবহেলা করেছেন চীনের মতো রাষ্ট্রের প্রতি সঠিক বৈদেশিক নীতি রূপায়ণের দিকে। আর এই ভুল নীতি গ্রহণ করায় এখন চাপের মুখে ভারতই।
সম্প্রতি ভারতকে মৌখিকভাবে এভাবেই আক্রমণ করল চিনা সংবাদমাধ্যম। বৃহস্পতিবার চীনের সরকারি সংবাদপত্র এভাবেই ভারতের সমালোচনা করল। ধর্মীয় প্রসঙ্গ তুলে চীনের এই আক্রমণে বেশ অবাক ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। চীনা সেই সংবাদপত্রে এও দাবি করা হয়েছে যে, নয়াদিল্লির শক্তি বেইজিংয়ের চেয়ে বহুগুণ কম। কিন্তু ভারতীয় রাজনীতিবিদরা সেই সহজ সত্য মেনে নিতে চান না।
সিকিম সীমান্তের কাছে চীনা সেনার উপস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতে ধর্মীয় ভেদাভেদ নিয়ে অশান্তি উসকে নয়াদিল্লিকে নতুন করে বেকায়দায় ফেলতে চাইছে বেইজিং, এমনটাই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
চীনা সেই সংবাদপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৪ সাল থেকেই ভারতে মুসলিমদের উপর হিন্দুরা ‘অত্যাচার’ চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছেন না। বরং তিনি হিন্দুদেরই রক্ষা করে চলেছেন। যদিও বাস্তবতা বলছে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে একের পর কড়া পদক্ষেপ করেছেন মোদি।
চীনা মিডিয়ার বক্তব্য, মোদির জয় হিন্দুদের মনে জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটিয়েছে। হিন্দু নাগরিকদের মনে দেশের প্রতি ভালবাসার সুযোগকে কাজে লাগিয়েছেন মোদি। ফলস্বরূপ, ভারতের সার্বিক বিকাশ ও উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও ব্যর্থ হয়েছে নয়াদিল্লি। বিশেষত, চিন ও পাকিস্তানের প্রতি কোনও নির্দিষ্ট বৈদেশিক নীতিই গ্রহণ করা হয়নি। বরং ধর্মীয় জাতীয়তাবাদকে অক্ষুন্ন রাখতে চিনকে সীমান্ত ইস্যুতে চটিয়েছে ভারত।
তবে এখানেই না থেমে ওই সংবাদপত্রে আরও জানিয়েছে, ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ বজায় রাখতে মুসলিমদের উপর অত্যাচার চলছে ভারতে। এখনই এই উগ্র জাতীয়তাবাদী মনোভাবকে না থামানো গেলে পরে মোদি কিছুই করতে পারবেন না।
বিডি-প্রতিদিন/ ২০ জুলাই, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-২০