তীব্র গন্ধের কারণে কাঁঠালের মত দেখতে ডুরিয়ান নামের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই ফলটির বহু দুর্নাম। অনেক মানুষ ডুরিয়ানের গন্ধ একবারেই সহ্য করতে পারেন না। যারা অভ্যস্ত নন তারা সহ্যই করতে পারেননা।
ডুরিয়ানের কেন এই গন্ধ বা দুর্গন্ধ - সেই রহস্য উদঘাটন করেছেন সিঙ্গাপুরের কজন বিজ্ঞানী। যে জিনের কারণে এই গন্ধ-সেটি খুঁজে পেয়েছেন তারা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে এখন হয়তো গন্ধবিহীন ডুরিয়ান ফলানো সম্ভব হবে। তবে এ সম্ভাবনায় অনেক ডুরিয়ান ভক্ত নাখোশ।
রিচি লিয়াং নামে সিঙ্গাপুরের এক বাসিন্দা তার ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, গন্ধ ছাড়া ডুরিয়ান হবে নেহাতই একটি খোলস, একজন মানুষ তার আত্মা খুইয়ে ফেললে তার যে অবস্থা দাঁড়াবে, ডুরিয়ান থেকে গন্ধ চলে গেলে ফলটির অবস্থা তেমন হবে।
তিন বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে একদল ক্যান্সার গবেষক এই ফলটির জিন ম্যাপ বের করে ফেলেছেন। স্বনামধন্য সাময়িকী নেচার জেনেটিক্সে তাদের গবেষণার ফলাফলটি প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞানী প্যাট্রিক ট্যান বলছেন, ফলটির জিনগত গঠনই এমন যে এর মধ্যে অতিরিক্ত সালফার তৈরি হতে থাকে। আর তীব্র গন্ধ সে কারণেই।
তিনি বলেন, গন্ধের কারণে প্রকৃতিতে বংশ বিস্তারে সুবিধে হয় ডুরিয়ানের। বহু দুর থেকে গন্ধ পেয়ে বানরসহ জঙ্গলের অনেক জীবজন্তু এই ফলের প্রতি আকৃষ্ট হয়। ফলে তাদের মাধ্যমে সহজে বীজ ছড়ায়।
গন্ধের কারণের পাশাপাশি, ডুরিয়ান ফলের জন্মের ইতিহাস আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। ধারণা করা হয়, কোকো প্রজাতির এই গাছের জন্ম এখন থেকে ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে।
বিজ্ঞানী জাকারি টে মজা করে লিখেছেন, সুতরাং আমরা যখন ডুরিয়ান খাই, তখন আসলে আমরা চকলেট খাই।বিবিসি বাংলা
বিডি প্রতিদিন/১১ অক্টোবর ২০১৭/আরাফাত