কোচিং থেকে ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে ব্যস্ত রাস্তার পাশে তিন ঘণ্টা ধরে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের ভোপালের হাবিবগঞ্জ রেলস্টেশনের অদূরে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ জানাতে গেলে গোটা ঘটনাকেই 'চিত্রনাট্য' বলে চালানোর চেষ্টা করেছে পুলিশ।
কলেজছাত্রী প্রতি দিনের মতোই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোচিং শেষে বাড়ি ফেরার জন্য হাবিবগঞ্জ রেলস্টেশনে যাচ্ছিলেন। স্টেশনে পৌঁছার আগেই তার পথ আটকে গোলু বিহারী নামে এক যুবক। তাকে টেনে হিঁচড়ে অন্ধকার গলিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই তরুণী গোলুকে লাথি মেরে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পারেননি। গোলু তার এক আত্মীয় অমর ঘণ্টুকে ডাকেন। এরপর দু'জনে মিলে তরুণীকে একটি পরিত্যাক্ত কালভার্টের কাছে নিয়ে যায়। তরুণী প্রতিরোধের আপ্রাণ চেষ্টা করেন, সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকেন। মুখ বন্ধ করিয়ে দিতে পাথর দিয়ে ওই তরুণীর মাথায় আঘাত করে গোলু ও তার সঙ্গী। তার পর তরুণীর হাত-পা বেঁধে চলে গণধর্ষণ।
তরুণীর অভিযোগ, এখানেই থামেনি সন্ত্রাসীরা। ঘণ্টুকে পাহারায় রেখে সিগারেট কিনতে যায় গোলু। ফিরে এলে তার কাছে পরার জন্য পোশাক চান তরুণী। কাছেরই বস্তিতে গোলুর বাড়ি। সেখান থেকে তরুণীর জন্য পোশাকও নিয়ে আসে সে। ইতিমধ্যেই গোলুদের সঙ্গে আরও দু'জন যোগ দেয়। এরপর চারজন মিলে রাত ১০টা পর্যন্ত তরুণীকে ধর্ষণ করে। তারপর সেখানে তাকে ফেলে দিয়ে চম্পট দেয় সন্ত্রাসীরা। যাওয়ার সময় তরুণীর ফোন, ঘড়ি এবং গয়নাও ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা।
এরপর ওই তরুণী হাবিবগঞ্জ রেলপুলিশ চৌকিতে কোনও রকমে পৌঁছন। মা-বাবাকে সেখানে ফোন করে ডাকেন। প্রথমে পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি বলে দাবি তরুণীর পরিবারের। তাদের অন্য থানায় যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, 'মিথ্যাভাবে সাজানো ঘটনা'র তকমা লাগিয়ে পুলিশ পাল্টা তাদের মেয়েকে অভিযুক্ত করার চেষ্টা করছে।'
হাবিবগঞ্জ থানা থেকে ফেরার পথে গোলু ও ঘণ্টুকে ঘটনার ৫০০ মিটারের মধ্যেই দেখতে পান তরুণী। তাদের চিনতেও পারেন। তরুণীর পরিবার তাড়া করে ওই দু'জনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
বিডি প্রতিদিন/০৩ নভেম্বর ২০১৭/আরাফাত