সামনে সাজানো মঞ্চ। তার উপরেই রাখা বিশাল পাত্র। টগবগিয়ে ফুটছে খিচুড়ি। ৮০০ কেজি খিচুড়ি একসঙ্গে রান্না হচ্ছে। দিল্লির ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়া ফেয়ার-এ এই বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হলেন উপস্থিত দর্শকরা। আর খিচুড়িতে 'তড়কা' দিলেন বাবা রামদেব।
ভারতীয়দের জীবনে খিচুড়ির জুড়ি মেলা ভার। অল্প আয়োজনেই এমন সুস্বাদু খাবার বোধহয় পৃথিবীর আর কোথাও মেলে না। তবে এই খিচুড়ি নিয়েই কিছুদিন আগে জগাখিচুড়ি কাণ্ড ঘটে গিয়েছিল। শোনা গিয়েছিল, জাতীয় খাবারের তকমা পেতে চলেছে সাধের এই খিচুড়ি। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্তর তর্ক বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। শেষ বিতর্কে ইতি টানেন স্বয়ং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণমন্ত্রী হরসিমরত কউর বাদল। জানিয়ে দেন, এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। খিচুড়ি ভারতের জাতীয় খাবারের স্বীকৃতি পাচ্ছে না। এই পদকে কেবল 'ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়া'য় রেকর্ড এন্ট্রি হিসেবে রাখা হবে। সেখানেই ৮০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হবে।
উপস্থিত ছিলেন নেতা-মন্ত্রীসহ অনেক বিশিষ্টরা। শুধুমাত্র চাল-ডালই নয় এই খিচুড়িতে দেওয়া হয়েছে বাজরা ও জোয়ারের মতো উপকরণও। রান্না শেষে স্থানীয় দর্শকদের পরিবেশন করা হয়েছে এই খিচুড়ি। আবার বিদেশি অতিথিদের জন্য প্যাক করে পাঠানো হয়েছে।
শুধু এই 'মেগা খিচুড়ি'ই নয় ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়ার আসরে পরিবেশিত হয়েছে দেশের নানা প্রান্তের পদ। বাংলার স্টলে সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ ডাব চিংড়ি। কেবল রবিবার পর্যন্তই মিলবে তার স্বাদ। সেদিনই শেষ হচ্ছে এই বিশেষ আয়োজন।
বিডি প্রতিদিন/০৪ নভেম্বর ২০১৭/আরাফাত