উত্তর কোরিয়াকে দমিয়ে রাখতে দেশটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আনা আরও কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার আরোপের একটি প্রস্তাব জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়েছে। একই সঙ্গে দেশটির পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচী ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধে সম্মতি দিয়েছেন পিয়ং ইয়ংয়ের মিত্র হিসেবে পরিচিত চীন এবং রাশিয়াও। তারপরও উত্তর কোরিয়াকে তাদের পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা থেকে বিরত রাখা যাবে কিনা সে প্রশ্নও উঠেছিল আলোচনায়।
বিবিসি বলছে, উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জের ধরেই আনা হয় এ প্রস্তাব। নিরাপত্তা পরিষদের শুক্রবারের বৈঠকে দেশটির প্রায় ৯০ শতাংশ পেট্রোলিয়াম আমদানি বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ২০১৬ তে নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ব্যারেল পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম, যা এবার বেড়ে দাঁড়ালো ৫ লাখ ব্যারেলে। আর অপরিশোধিত তেলের ক্ষেত্রে পরিমাণটি বছরে ৪ মিলিয়ন ব্যারেল।
শুধু তাই নয়, এবারের নিষেধাজ্ঞাযর ফলে উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতির অন্যতম উপাদান প্রবাসী আয়ও কমে যাবে। কারণ বিভিন্ন দেশে কর্মরত উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের আগামী ২৪ মাসের মধ্যে ফেরত পাঠাতে বলা হয়েছে। একইসাথে যন্ত্রাংশ ও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী রপ্তানির ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তালিকায় আছে দেশটির তৈরি পোশাক সামগ্রীও।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭/মাহবুব