নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দুই জঙ্গীসহ ছয় জনের মৃত্যুর পর ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভারতের জম্মু-কাশ্মীর।
রবিবার রাতের ওই সংঘর্ষের পর সোমবার রাজ্যের একাধিক জায়গায় কারফিউ জারি করা হয়েছে, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ঠেকাতে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
গতকাল রবিবারই দক্ষিণ কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। যদিও নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে নিহতরা সবাই জঙ্গি। তবে স্থানীয় মানুষের দাবি নিহতদের মধ্যে চার জন স্থানীয় বাসিন্দা।
স্থানীয় পুলিশ সূত্র জানায়, রবিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলার ফানু গ্রামে সেনাবাহিনীর টহলরত গাড়ি বহরে জঙ্গিরা হামলা চালায়। রাতেই চার জনের মৃত্যু হয়, সোমবার সকালে আরও দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে ঘটনাস্থল থেকে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য আশিক হুসেন ভান’এর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে সে নিখোঁজ ছিল।
ওই হত্যার প্রতিবাদে কট্টরপন্থী নেতা সৈয়দ আলি গিলানি, মীরওয়াইজ ওমর ফারুক এবং ইয়াসিন মালিক সোমবার উপত্যকা জুড়ে হরতালের ডাক দিয়েছেন।
এদিকে সোফিয়ানের হত্যার প্রতিবাদে সোমবার একাধিক জায়গায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। মধ্য কাশ্মীরের বুদগামে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও বিক্ষোভারীদের মধ্যে খন্ডযুদ্ধ হয়। সূত্রে খবর চাদুরা, কার্লপোরা এবং মাচুয়া সহ এই জেলার একাধিক যায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়।
যদিও হরতালে অশান্তি এড়াতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। শ্রীনগর শহর এবং দক্ষিণ কাশ্মীরে বিধিনিষেধ জারি করেছে প্রশাসন।
সোমবার নির্ধারিত সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষাও স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেছে স্টেট পাবলিক সার্ভিস কমিশন কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ কাশ্মীরে ইন্টারনেটের পাশাপাশি রেল পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছে। শ্রীনগরেও দোকান-বাজার, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে।
বিডিপ্রতিদিন/ ০৫ মার্চ, ২০১৮/ ই জাহান