শিরোনামটা দেখে মনে হতে পারে এতে নিশ্চয়ই কোনও ভুল আছে। কারণ সাধারণত বেতন-ভাতা, মজুরি ও বোনাসের দাবিতেই বিভিন্ন আন্দোলন হয়ে থাকে। কিন্তু বেতন বেশি হয়ে গেছে তাই কমানোর দাবিতে আন্দোলন খুব সম্ভবত এই প্রথম শোনা গেল। তবে এমন অদ্ভুত ঘটনাই ঘটেছে কানাডায় কুইবেক রাজ্যে।
সেখানকার সাতশ’র বেশি চিকিৎসক তাদের বেতন কমানোর দাবিতে একটি পিটিশনে স্বাক্ষর গ্রহণ করেছেন। গেলো মাসে প্রাদেশিক সরকারের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে চিকিৎসকদের বেতন বাড়ানো হয়। কিন্তু এখন চিকিৎসকরা বলছেন তারা আর বাড়তি বেতন চান না। বরং ওই বাড়তি অর্থ আরও সেবক-সেবিকা ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের পেছনে ব্যয় করা হোক।
এমকিউআরপি গ্রুপের ওই পিটিশনে বলা হয়েছে, নার্স, ক্লার্ক ও অন্যান্য পেশার মানুষরা প্রতিনিয়ত কষ্টকর কাজ করে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব পেশাজীবীদের বেতন কাটায় করায় রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা ব্যাহত হচ্ছে, তাই এই বেতন বৃদ্ধি বেদনাদায়ক।
গেলো ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ওই পিটিশনে স্বাক্ষর গ্রহণ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত সাতশ’র বেশি ফিজিশিয়ান, জেনারেল প্র্যাকটিশনার, স্পেশালিস্ট, আবাসিক চিকিৎসক ও মেডিকেল ছাত্র ওই পিটিশনে সই করেছে।
কুইবেক সরকার সেখানকার ১০ হাজার ডাক্তারকে বার্ষিক ১ দশমিক ৪ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি করতে সম্মত হয়। ফলে তাদের বার্ষিক বেতন চারশ’ কোটি ৭০ লাখ ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচশ’ কোটি ৪০ লাখ ডলারে।
কুইবেকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, যদি ডাক্তাররা এই অতিরিক্ত অর্থ না চান তাহলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। যদি তারা নিজেদের মধ্যে এটি মেনে নেয় তাহলে সেটি আমরা মেনে নেবো। কিন্তু এই আন্দোলনে পক্ষে ডাক্তারদের সংখ্যা খুবই কম।
উল্লেখ্য, কুইবেকে একজন ডাক্তার গড়ে বার্ষিক দুই লাখ ৬০ হাজার ডলার বেতন পান।
বিডিপ্রতিদিন/ ১০ মার্চ, ২০১৮/ ই জাহান