চীন তাদের ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড বা এক অঞ্চল, এক পথ, এই নীতি নিয়ে এগুচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সী পেক নামের চায়না-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর তৈরির কাজ শুরু করার বিষয়ে জোর দেয়া হচ্ছে। এখন চীন-পাকিস্তান করিডোর তৈরির প্রশ্নে ইসলামাবাদও বেশ আগ্রহী।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যেই পাকিস্তানকে বলেছেন, ইসলামবাদকে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়া বন্ধ করতে হবে।অন্যথায় যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে সাহায্য বন্ধ করে দেবে।
ইসলামাবাদে শীর্ষ স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অনেকে মনে করেন, অর্থনৈতিক করিডোর নিয়ে আপত্তির কারণেই ট্রাম্প পাকিস্তানকে সাহায্য বন্ধের হুমকি দিয়েছেন।
ইসলামাবাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর একজন শিক্ষার্থী বলছিলেন, আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের মূল সমস্যা অর্থনৈতিক করিডোর নিয়ে। ট্রাম্প চায় না পাকিস্তান করিডোর তৈরি হোক।
বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক পারভেজ আলী বলছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়ে পাকিস্তান এখন চীনের সাথে সম্পর্ক আরও গভীর করার বিষয়েই গুরুত্ব দিচ্ছে। চীন পাকিস্তানে বেশ প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানকে সাহায্য বন্ধের হুমকি দিয়েছেন, তখন সাধারণ মানুষও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কে আর আগ্রহী নয়। যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে কোটি কোটি ডলার দিচ্ছে, এই মিথ্যা বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে দশ বছর আগে পাকিস্তান পুরোপুরি যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল ছিল।কিন্তু চীন পাকিস্তানকে এর কয়েকগুণ বেশি সাহায্য করছে।ফলে পাকিস্তান চীনের সাথেই এখন বিশ্বে এগুতে চায়।
চীন পাকিস্তানে পারমাণবিক চুল্লীও নির্মাণ করছে। দু'টির নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যেই শেষ পর্যায়ে এসেছে। আরও কয়েকটির কাজ চলছে। চীন থেকে ইতিমধ্যে পাকিস্তানের ভিতর দিয়ে মালামাল পরিবহণ করা হয়েছে গোয়াডর বন্দর পর্যন্ত। সেখান চীনের পণ্য গেছে আফ্রিকায় এবং পশ্চিম এশিয়ায়। এখন অর্থনৈতিক করিডোর তৈরি করার বিষয়টি চীনের উচ্চাভিলাষী প্রকল্প।
ইসলামাবাদে নতুন একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্টের একজন কর্মী বলছিলেন, দুই দেশের ভবিষ্যত সম্পর্ক আরও ভাল হবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, 'এখন দুই দেশের সম্পর্ক এখন খুব ভাল। ভাবিষ্যতে আরও গভীর হচ্ছে আমাদের সম্পর্ক।' সূত্র: বিবিসি বাংলা
বিডি প্রতিদিন/৭ মে, ২০১৮/ফারজানা