যুক্তরাষ্ট্রের ‘মাদার অব অল বোম্বস’র মতো শক্তিশালী বোমা বানিয়েছে চীন। দেশটি এরই মধ্যে বোমাটির সফল পরীক্ষাও চালিয়েছে। পরমাণু অস্ত্রের বাইরে এটাই চীনের সবচেয়ে বড় অস্ত্র বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশটির রাষ্ট্রীয় অস্ত্র উৎপাদনকারী সংস্থা নরিনকো এই বোমার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। খবর ডেইলি মেইলের।
যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী বোমার চেয়ে চীনের বোমার আকার ছোট, তবে শক্তিশালী। প্রতিরক্ষা সংস্থা চায়না নর্থ ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রুপ করপোরেশন লিমিটেড (নরিনকো) বোমাটি তৈরি করেছে। ডিসেম্বরের শেষদিকে এইচ-৬কে বোমারু বিমানের মাধ্যমে নিক্ষেপ করে সেটির সফল পরীক্ষা করা হয়। এর ভিডিও আপলোড করা হয় নরিনকোর ওয়েবসাইটে।
বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, বোমাটি পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই চারদিকে আগুনের কুণ্ডলি ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গ্লোবাল টাইমস পরমাণু অস্ত্রের বাইরে এটাকে সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা বলে উল্লেখ করেছে।
বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি জিবিইউ৪৩/বি ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স এয়ার ব্লাস্টের (মোয়াব) এর চেয়ে শক্তিশালী এই বোমা। এটি ৩ হাজার ফুট ব্যাসার্ধের মধ্যে সবকিছু ধ্বংস করে দিতে পারে।
২০১৭ সালের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে আইএসের ওপর মোয়াব নিক্ষেপ করেছিল। বেইজিং ভিত্তিক সামরিক বিশেষজ্ঞ ওয়েই দোংজু বলেন, চীনের তৈরি বোমাটির দৈর্ঘ্য ১৬ থেকে ১৯ ফুট বা ৫ মিটার থেকে ৬মিটার হবে। ওজন বেশ কয়েক টন। আকারে বড় হওয়ায় একবারে একটা বোমাই বহন করতে পারে এইচ-৬কে বোমারু বিমান।
দোংজু জানান, শক্তিশালী ওই বোমা একটা গোটা এলাকা গুড়িয়ে দিতে পারে। আবার সেনাবাহিনীও কাজে লাগাতে পারে। দুর্গম এলাকা এবং জঙ্গল পরিষ্কার করে সেখানে সেনা ঘাঁটি গড়তে চাইলে অথবা হেলিকপ্টার ওঠানো-নামানো করতে চাইলে একটি বোমা ফেললেই হবে। মুহূর্তের মধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে গোটা এলাকা। শত্রুপক্ষের মনে ভয় ধরাতেও যথেষ্ট এই বোমা। যুক্তরাষ্ট্রে মোয়াবের চেয়ে বড় থার্মোব্যারিক বোমা রয়েছে রাশিয়ার হাতে যাকে ‘ফাদার অব অল বোম্বস’ (ফোয়াব) বলা হয়।
বিডি প্রতিদিন/কালাম