আগামী মার্চের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা থাকলেও, এখনও কাটেনি অনিশ্চয়তা। এদিকে আগামী ১৪ই জানুয়ারি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ব্রেক্সিট ভোটে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে'র হেরে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
ব্রিটিশ সংসদ সদস্যরা ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ভোটের মাধ্যমে তাদের অভিমত জানাবেন। আর এই পার্লামেন্ট ভোটের রায়ের ওপরই ঝুলে আছে ব্রেক্সিটের ভবিষ্যৎ। অন্যদিকে দেশটির জনগণও ব্রেক্সিটের বিপক্ষে চলে যাওয়ায়, নির্দিষ্ট সময়ে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন থেরেসার পক্ষে ক্রমেই অসম্ভব হয়ে পড়ছে।
লিসবন চুক্তির আর্টিকেল- ফিফটির শর্ত অনুযায়ী, প্রজ্ঞাপন জারির দুই বছরের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের সব কিছু নির্ধারণ করতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ২৯শে মার্চের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে হাঁটছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।
এদিকে এক জরিপে উঠে এসেছে যে ব্রেক্সিট ইস্যুতে পুনরায় গণভোট চান বেশিরভাগ ব্রিটিশ নাগরিক। ফলে পুরো বিষয়টা মাথায় রেখে ব্রিটেনবাসীর জন্য ভবিষ্যতের ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবেন ব্রিটেনের সংসদ সদস্যরা- এমনটিই মনে করছেন অনেকে।
একের পর এক বাধা পেরিয়ে আদৌ কি ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে পারবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে? এখন সেটাই দেখার বিষয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন