২৪ মে, ২০১৯ ২০:৩০

মোদির শপথ গ্রহণ হতে পারে ৩০ মে

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

মোদির শপথ গ্রহণ হতে পারে ৩০ মে

সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৩০ মে দ্বিতীয় বারের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে পারেন বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি। ৬৮ বছর বয়সী মোদি হবেন দেশটির ১৫ তম প্রধানমন্ত্রী। ওইদিন রাষ্ট্রপতি ভবনে বিকাল ৪টার পর হতে পারে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। মোদি ছাড়াও আরও বেশ কিছু মন্ত্রী শপথ নিতে পারেন।

যদিও মোদির শপথ গ্রহণ নিয়ে সরকারি ভাবে বিজেপির তরফে কিছুই ঘোষণা করা হয়নি। খুব শিগগির দলের তরফে শপথের দিন ঘোষণা হতে পারে। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্র ও দলের একটি পক্ষ থেকে এই খবর জানা গেছে।

এদিকে শুক্রবার বিকালেই সাউথ ব্লকে ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের নিয়ে শেষ বৈঠকে বসেন মোদি। বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সকল সদস্যরাই উপস্থিতিতেই বর্তমান ১৬ তম লোকসভা ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

পরে সেটিকে প্রস্তাব আকারে পেশ করা হয় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে। বৈঠক শেষেই রাষ্ট্রপতি ভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মোদি। সেখানে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সাথে দেখা করে মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব পেশের পাশাপাশি বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যদের ইস্তফা পত্র তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিজের ইস্তফা পত্রও তুলে দেন মোদি। রাষ্ট্রপতি তা গ্রহণও করেন এবং নতুন মন্ত্রিসভা গঠন না হওয়া পর্যন্ত কার্যভার চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান রাষ্ট্রপতি।

এদিনের ক্যাবিনেট বৈঠকে নতুন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আয়তন নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। সূত্রে খবর নতুন মন্ত্রিসভায় মোদির বিশ্বস্ত সেনাপতি বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।

বাংলায় একলাফে ১৮ আসনে জয়ের পর এরাজ্য থেকেও একাধিক ব্যক্তিকে মন্ত্রিসভায় আনা হতে পারে বলে খবর। তবে মন্ত্রিসভার ‘বিগ-৪’ অর্থাৎ স্বরাষ্ট্র, অর্থ, পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা-এই চার মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে এবার অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে অরুন জেটলি ও সুষমা স্বরাজকে। এই কারণেই চলতি নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে দেখা যায়নি তাদের। 
অন্যদিকে রাহুল গান্ধীকে হারানোর পুরস্কার পেতে পারেন স্মৃতি ইরানি। বস্ত্র মন্ত্রণালয় থেকে তাকে দেওয়া হতে পারে আরও কোন গুরুত্বপূর্ণ দফতর। শপথ নেওয়ার আগে আগামী ২৯ মে গুজরাটে গিয়ে মা হীরাবেন-এর সাথে সাক্ষাত করবেন মোদি, মায়ের কাছ থেকে আর্শীবাদ নেবেন ছেলে। এর আগে ২৮ মে বারাণসীতে সফর করবেন মোদি। সেখানে একটি বিশাল বিজয় মিছিলও করতে পারেন তিনি।

দলের তরফে নতুন সরকারের শপথ গ্রহণের দিন নিয়ে কিছু বলা না হলেও জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। ২০১৪ সালের মে মাসে মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সার্ক ভুক্ত রাষ্ট্রগুলির প্রতিনিধিরা। ভারতের বার্তা ছিল ‘প্রতিবেশি আগে’। কিন্তু এবার কি তেমন ছবি দেখা যাবে? ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রে খবর এখনও পর্যন্ত তেমন কোন পরিকল্পনা নেওয়া হয় নি। তবে একটি সূত্র বলছে চলতি মাসের গোড়াতেই দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। সেখানেই প্রতিবেশি দেশগুলির প্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না? অন্য কোন বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের আমন্ত্রণ করা হবে কি না? তা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়।

বিডি প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর