শিরোনাম
২০ আগস্ট, ২০১৯ ১৩:৫১

বেড নেই, হাসপাতালের বারান্দাতেই সন্তান প্রসব!

অনলাইন ডেস্ক

বেড নেই, হাসপাতালের বারান্দাতেই সন্তান প্রসব!

প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন আসন্নপ্রসবা। সোজা হয়ে দাঁড়াতেও পারছিলেন না। কিন্তু হাসপাতালে উপস্থিত ডাক্তার-নার্স সবাই মুখ ফিরিয়ে নেন তার কাছ থেকে। মুখের ওপর বলে দেন, হাসপাতালে বেড নেই। কোনো উপায় না দেখে হাসপাতালের করিডোরেই শুয়ে পড়েন তিনি। সেখানেই জন্ম দেন সন্তানের।

রবিবার ভারতের উত্তর প্রদেশের ফারুকাবাদের হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠে, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের অবহেলার।

এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে সেখানকার রাজনৈতিক মহল থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জীবনদাতাদের এহেন অমানবিকতায় নিন্দায় মুখর হন সবাই। 

প্রত্যক্ষদর্শীর ক্যামেরায় ধারণ করা ছবিতে দেখা যায়, হাসপাতালের করিডোরে যখন প্রসব করেন ওই নারী, তখন রক্তে ভেসে যাচ্ছে চারপাশ। একটু দূরে শুয়ে সদ্যোজাত। তাকে জড়ানো একটুকরো কাপড়ও রক্তে ভেজা। কিছুক্ষণ পরেই সেখানে দেখা যায় প্রসবার আত্মীয়াকে। তিনি ভালো কাপড়ে জড়িয়ে নেন শিশুটিকে। এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই নাকি তাড়াহুড়ো করে ওই নারীকে নিয়ে যাওয়া হয় লেবার রুমে। কিন্তু ততক্ষণে তিনি সন্তান প্রসব করে ফেলেছেন।

রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল ফারুকাবাদ জেলার একমাত্র বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতাল। এ ঘটনায় ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ও কমকর্তারা বলেন, ওই নারীকে ভর্তি করার জন্য কোনো বিছানার ব্যবস্থা ছিল না।

এ ঘটনায় স্থানীয় জেলা প্রশাসক মনিকা রাণী বলেন, আমরা ঘটনার পেছনের সত্যতা যাচাই করব। কারো গাফিলতি থাকলে দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

স্থানীয়রা ওই হাসপাতালে রোগীদের মৃত্যুর জন্য ওষুধ ও অক্সিজেনের অভাবকে দায়ী করেছেন, যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করছেন স্থানীয় রাজ্য সরকার।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ওই হাসপাতালে এক মাসেই ৪৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। তার আগের দিন উত্তর প্রদেশের গোরখপুর হাসপাতালে ওষুধ এবং অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছিল এক শিশু। 


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর