ঘর বানাবেন। তাই পিলারের জন্য মাটি খুঁড়ছিলেন। খুঁড়তে খুঁড়তে এক পর্যায়ে যেন পেয়ে গেলেন গুপ্তধন! মাটির নিচ থেকে বেরিয়ে এল এক মুটো সোনা আর বেশ কিছু রূপার অলংকার।
ওজন করে দেখা গেল সোনার পরিমাণ ৬৫০ গ্রাম, আর রূপা আছে সাড়ে চার কেজির বেশি। বাংলাদেশি টাকায় এর মূল্য হবে ৩০ লাখ টাকার বেশি। মহাখুশি ঘরের মালিক প্রতিবেশিদের কাছেও তথ্যটা শেয়ার করলেন। আর এটাই কাল হয়ে গেল শেষ পর্যন্ত!
এ-ওর কান হয়ে খবর চলে গেল পুলিশের কাছে। পুলিশ এসে ঘরের মালিকের কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে মালিক প্রথমে লুকাতে চাইলেন। অস্বীকার করলেন যে, এমন কিছু তিনি পাননি।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশ বের করে ফেলল, আসলেই বেশ কিছু অলংকার পাওয়া গেছে। মালিকও অবশেষে স্বীকার করলেন। এরপর পুলিশ অলংকারগুলো জব্দ করে থানায় নিয়ে গেল।
ভারতের উত্তর প্রদেশের এই ঘটনায় হার্দয় জেলার স্থানীয় পুলিশ বলছে, অলংকারগুলো দেখে মনে হয়েছে এগুলো ১০০ বছর আগের হতে পারে। আর এত পুরোনো জিনিসের প্রত্মতাত্ত্বিক গুরুত্ব থাকতে পারে। এছাড়া ওই বাড়ির মালিক অলংকারের পক্ষে কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। ফলে এগুলো জব্দ করে নিয়ে আসা হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি
বিডি প্রতিদিন/কালাম