চন্দ্রযান-২-এর অভিযান ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ সফল হওয়ার দাবি করেছে ইসরো। কিন্তু এই অভিযানে প্রত্যাশিত সাফল্য না মেলায় টুইট করে তীব্র কটাক্ষ করেন পাকিস্তানের বিজ্ঞান মন্ত্রী ফাওয়াদ হুসেন।
কিন্তু পাকিস্তানের বিজ্ঞান মন্ত্রী যা-ই বলুন না কেন, চন্দ্রযান-২ অভিযানের পর ভারতকে শুভেচ্ছা জানালেন পাকিস্তানের প্রথম নারী মহাকাশচারী নামিরা সালিম।
চন্দ্রযান-২ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ডার বিক্রমের সফট ল্যান্ডিংয়ের ঐতিহাসিক প্রচেষ্টার জন্য আমি ভারত আর ইসরোকে শুভেচ্ছা জানাই। এই অভিযান মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে সত্যিই একটা বিরাট পদক্ষেপ।
পাকিস্তানের প্রথম নারী মহাকাশচারীর মতে, এই অভিযানে ভারত বা দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়াই নয়, লাভবান হবে গোটা বিশ্ব।
স্যার রিচার্ড ব্র্যানসনস ভার্জিন গ্যালাকটিক স্পেসলাইন থেকে পাকিস্তানের প্রথম নারী মহাকাশচারী হিসাবে মহাকাশে গিয়েছিলেন নামিরা সালিম। তিনিই প্রথম নারী যিনি মাউন্ট এভারেস্টে স্কাইডাইভ করেছিলেন।
তার মতে, কোনো মহাকাশ গবেষণায় বা এই রকম কোনো মহাকাশ অভিযানের সুফল নির্দিষ্ট দেশ বা অঞ্চলের উপর নির্ভর করে না। এর ফলে উপকৃত হয় গোটা বিশ্ব।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টম্বর ভারতের চন্দ্রযান-২ এর অরবিটারের সঙ্গে সফলভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় ল্যান্ডার বিক্রমের। তা পর থেকেই শুরু হয়েছিল চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়া। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও চাঁদের মাটি থেকে ২.১ কিলোমিটার ওপরেই বিক্রমের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন