২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০২:০৫

ইরানে হামলাকারী দেশকে রণক্ষেত্র বানিয়ে ফেলা হবে

অনলাইন ডেস্ক

ইরানে হামলাকারী দেশকে রণক্ষেত্র বানিয়ে ফেলা হবে

সৌদি তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। এরইমধ্যে ইরানের বিশেষায়িত বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার হোসেইন সালামি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, 'ইরানকে যদি কোনো দেশ আক্রমণ করে, সেদেশকেই ‘মূল রণক্ষেত্র’ বানিয়ে ফেলা হবে।' শনিবার তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

এদিকে, সৌদি তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলা নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সরব আমেরিকা ও ইরান। এমন পরিস্থিতিতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনির নির্দেশেই ওই হামলা চালানো হয়েছে। 
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার এমন পরিপ্রেক্ষিতে কমান্ডার হোসেইন সালামি আরও বলেন, ইরানের অঞ্চলে কোনো ধরনের যুদ্ধাচরণ আমরা বরদাশত করবো না। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ইরানের ব্যাপারে ‘অতি অ্যাডভেঞ্চারে’ ভুগছে উল্লেখ করে বিপ্লবী গার্ডের এ কমান্ডার বলেন, আগে যে ধরনের কৌশলগত ভুল করেছে, আমরা আশা করি তারা আর এ ধরনের ভুল করবে না।

শুক্রবার সৌদি আরবের জেদ্দায় যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে পম্পেও বলেন, ‘সৌদি আরবের আত্মরক্ষার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে।’ পম্পেও’র মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বলেছেন, আমেরিকা এবং তার উপসাগরীয় মিত্র দেশ ইরানে হামলার কথা ভাবলে তারাও চুপ থাকবেন না। জাভেদের কথায়, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। কিন্তু আত্মরক্ষার স্বার্থে আমরাও এক মুহূর্ত বসে থাকবো না।’ সব মিলিয়ে, কার্যত বারুদের স্তূপের উপর বসে রয়েছে গোটা মধ্যপ্রাচ্য। একটি স্ফুলিঙ্গ পেলেই যেকোনও মুহূর্তে ঘটবে প্রচণ্ডই বিস্ফোরণ। আর তার উত্তাপ পড়বে গোটা বিশ্বে। 

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর