ইরানের ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল যুক্তরাষ্ট্র। এবারের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে ইরানের একটি প্রতিষ্ঠান ও নয় ব্যক্তি।
ওয়াশিংটন বলেছে, “ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর পক্ষ থেকে নিয়োগ পাওয়া কিংবা তার পক্ষে কাজ করার জন্য এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হল।”
সোমবার মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের পররাষ্ট্র সম্পদ নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ইরানে মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তির আখড়া হিসেবে পরিচিত সাবেক মার্কিন দূতাবাস দখলের ৪০তম বার্ষিকীর দিন এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতার পক্ষ থেকে নিয়োগ পাওয়া ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাকেরি ও বিচার বিভাগের প্রধান ইব্রাহিম রায়িসি’কে নতুন করে আরোপিত এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
সেইসঙ্গে ইরানের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর পদস্থ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসেইন দেহকান এবং আইআরজিসি’র খাতামুল আম্বিয়া সদরদপ্তরের প্রধান মেজর জেনারেল গোলাম আলী রশিদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা। এ ছাড়া, আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর চিফ অব স্টাফসহ তাঁর দপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তাকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার ফলে নিষেধাজ্ঞার শিকার ব্যক্তিদের কোনো সম্পদ আমেরিকায় থাকলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। সেইসঙ্গে আমেরিকার কোনো প্রতিষ্ঠান এসব ব্যক্তির সঙ্গে কোনো লেনদেন করতে পারবে না।হাস্যকর বিষয় হচ্ছে, আমেরিকায় এসব ব্যক্তির কোনো সম্পদ নেই।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানুচিন নিষেধাজ্ঞার শিকার ব্যক্তিদেরকে ‘ব্যাপক ক্ষতিকর আচরণের’ দায়ে অভিযুক্ত করেছেন।বিশ্বব্যাপী মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী আচরণের বিপরীত যেকোনো কর্মকাণ্ডকে ‘ব্যাপক ক্ষতিকর আচরণ’ বলে মনে করে আমেরিকা।ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করেছে।
সূত্র: পার্সটুডে
বিডি প্রতিদিন/কালাম