মার্কিন ড্রোন হামলায় শুক্রবার ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী সেনা অধিনায়ক কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় টু্ইট করে আমেরিকাকে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। পরিস্থিতি যুদ্ধের পথে নিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা ও ইরানকে, যার উপর নজর রাখছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে দু’পক্ষকেই শান্তি বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করেছেন।
আমেরিকা ও ইরান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে ভারত-সহ বহু দেশের অর্থনীতির উপর এর প্রভাব পড়বে। ভারত বলছে, আমরা লক্ষ করেছি, আমেরিকার আক্রমণে ইরানের এক শীর্ষস্থানীয় সামরিক নেতা নিহত হয়েছেন। এর ফলে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে তাতে সারা বিশ্ব উদ্বিগ্ন। উদ্বিগ্ন ভারতও। শান্তি, স্থিতিশীলতা ও ওই এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে আমরা সবচেয়ে বেশি চিন্তিত। পরিস্থিতি যেন হাতের বাইরে না চলে যায়। আমরা বিবদমান সব পক্ষকে সংযত হওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, ভারতের উদ্বেগের কারণ অবশ্যই তেল। শুক্রবার হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তাতে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের প্রয়োজনীয় তেলের ৮৩ শতাংশই আমদানি করতে হয়। এমনিতেই গত বছর তেলের দাম প্রায় ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। এরপর নতুন করে তেলের দাম বৃদ্ধি অন্য সমস্যা তৈরি করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল।
তাদের মতে, কাঁচা তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব সরাসরি ভারতীয় পকেটেই টান বাড়াবে। এর ফলে প্রথম পেট্রল, ডিজেলের দাম বাড়বে। তাতে পরিবহনের খরচ বাড়বে এবং মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা আরও প্রকট হবে। এমনিতেই পিয়াজ, আলুর মত নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির ফলে মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। এরপরে পরিবহনের খরচ বাড়লে সমস্ত খাদ্যবস্তুরই মূল্যবৃদ্ধি নিশ্চিত। তাতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি যে আরও বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক