চলতি বছর দারুণভাবে শুরু করেছিল সৌদি আরব। তেলের বাইরেও অন্যান্য খাতে ব্যাপক উন্নতি করছিল দেশটি। সে কারণে সৌদি আরবের কর্মকর্তারা ভেবেছিলেন, বাইরের দেশগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ নতুন বিনিয়োগ আসবে। অন্যদিকে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে সৌদি আরবের ওপর যে চাপ সৃষ্টি হয়েছিল, সেটাও নমনীয়তার পথে। জি-২০ সম্মেলন এ বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠানের আয়োজকও হতে যাচ্ছিল সৌদি। খবর ইকোনমিস্টের।
এর আগে সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানো থেকে শুরু করে সিনেমাহলে যাওয়া এবং খেলা দেখার জন্য স্টেডিয়ামে যাওয়ার অনুমোদন আসে ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের কারণে। সে অনুসারে সৌদি আরবে উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু সেসব আর পরিকল্পনা অনুসারে হচ্ছে না। জানা গেছে, ক্রাউন প্রিন্সের ইন্ধনে গত মার্চে সৌদি আরবের বেশ কয়েকজন যুবরাজ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের আটক করা হয়। তারপর তেলের দাম নিয়ে শুরু হয় রাজনীতি।
এর ফলে, রাশিয়া থেকে শুরু করে আবুধাবি এবং যুক্তরাষ্ট্র নাখোশ হয়ে যায়। তার ওপর করোনাভাইরাস বাগড়া দেয়। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার জেরে বিমান থেকে শুরু করে পর্যটনখাত বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে সৌদি আরবে অযাচিতভাবে তেল জমে আছে। ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে সৌদি আরবের অর্থনীতিসহ চারিদিক একেবারে নিশ্চল হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত সে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ৬৫ হাজার ৭৭ জন এবং মারা গেছে ৩৫১ জন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক