শরণার্থী প্রবেশে কড়াকাড়ি আরোপের অংশ হিসেবে তুরস্কের সঙ্গে সীমান্তে দুটি লঙ্গ রেঞ্জ অ্যাকাউস্টিক ডিভাইসেস (এলআরএডি) বসিয়েছে গ্রিস। এর তীব্র শব্দবোমা মানুষকে বধির করে দিতে পারে।
এসব যন্ত্রকে শব্দ কামান ও শব্দবোমা বলে অভিহিত করছেন শরণার্থী অধিকার নিয়ে কাজ করা কর্মীরা।
এলআরএডি’র শব্দতরঙ্গ জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই যন্ত্রের শব্দ তরঙ্গের কারণে বধির হয়ে যাওয়া এবং তীব্র মাথা ও কান ব্যথা হতে পারে। এছাড়া আরও নানা স্বাস্থ্যগত জটিলতা দেখা দিতে পারে। এলআরএডি ছাড়াও চারটি ড্রোন, ১৫টি থার্মাল ক্যামেরা, ৫টি জোডিয়াক বোট ও ১০টি সশস্ত্র মোবাইল গাড়ি মোতায়েন করা হয়েছে তুর্কি-গ্রিস সীমান্তে।
এদিকে গ্রিস সীমান্তে বাড়তি পর্যবেক্ষণ সিস্টেম ও তুরস্কের সঙ্গে পুরো সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা হচ্ছে। ২৭ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকাজুড়ে সামরিক বাহিনী ৮টি উড়ন্ত পর্যবেক্ষণ মেশিনও ব্যবহার করবে।
আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী, মানুষকে ছত্রভঙ্গ করতে ও দাঙ্গা বন্ধে এলআরএডি’র ব্যবহার নিষিদ্ধ। এগুলো কেবল বিমানবন্দরের দিকে আসা বন্যপ্রাণী তাড়াতে ব্যবহৃত হতে পারে।
এছাড়া গ্যাস ও তেল ক্ষেত্রে এবং শিল্প ও জ্বানালি কেন্দ্রে এগুলো ব্যবহার করার অনুমতি আছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন