পড়তে বসা নিয়ে মায়ের বকুনি। আর সেই বকুনি সহ্য করতে না পেরে ঘরে রাখা পুরনো বন্দুকের সাহায্যে আত্মহত্যা করল ১৭ বছর বয়সি দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে।
জানা গেছে, মোরাদাবাদের বাজপুর মান গ্রামে গত শনিবার রাতে পড়তে বসা নিয়ে মেয়েকে বকাবকি করেন মা। ওই সময় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীটি বাড়ির ছাদে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। তখনই পড়াশোনা না করার জন্য মায়ের বকুনি শুনতে হয় তাকে। কোনো প্রতিবাদ করেনি সে।
কিন্তু তারপরই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। ছাদ থেকে নিচে নেমে ছাত্রী নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। কিছুক্ষণ পরেই গুলির আওয়াজ শোনা যায়। তাতেই প্রায় স্পষ্ট হয়ে যায়, কী ঘটে গেল।
ছাত্রীর মা ঘরে ঢুকে দেখেন গোটা ঘর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। ওই ছাত্রী নিজের তলপেটে গুলি করেছে। ওই সময় মেয়েটির বাবা কোনো কাজে বাইরে গিয়েছিলেন। খবর পেয়ে তিনিও ফিরে আসেন। পরবর্তী সময়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তাকে বাঁচানো যায়নি। হাসপাতালেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী।
ইতিমধ্যে পুলিশ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে, কোথা থেকে মেয়েটি ওই বন্দুকটি পেয়েছিল? সেটির আদৌ কোনো লাইসেন্স ছিল কি না?
স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মায়ের বকুনির জেরেই আত্মহত্যা করেছে সে। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, মেয়েটির আগে থেকে কোনোরকম মানসিক সমস্যা ছিল না। তবে গোটা বিষয়টি এখন তদন্তাধীন। যে পিস্তল দিয়ে ওই কিশোরী এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, সেটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
বিডি প্রতিদিন/এমআই
