৪ মার্চ, ২০২১ ১২:১০

'বিদ্রোহী' দিবসের ৬২তম বার্ষিকী পালন করবে তিব্বতিরা

অনলাইন ডেস্ক

'বিদ্রোহী' দিবসের ৬২তম বার্ষিকী পালন করবে তিব্বতিরা

তিব্বত চীনের স্বায়ত্তশাসিত মালভূমির বেশিরভাগ অংশজুড়ে অবস্থিত। তিব্বত সংগ্রামের জন্য শহীদের অবদানের কথা স্মরণে বিশ্বজুড়ে তিব্বতিরা আগামী ১০ মার্চ 'জাতীয় তিব্বত বিদ্রোহ দিবস'-এর ৬২তম বার্ষিকী পালন করবেন।

তিব্বতের ইতিহাসের এই দিনটিই তিব্বতের জীবনধারায় নিবিড়ভাবে জিরিয়ে আছে। এই দিনটি তিব্বতবাসীদের সাহস, স্থিতি ও আশার প্রতীক। দিনটি নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে তাদের দেশপ্রেম জাগ্রত ও মজবুত করে।

তিব্বত এমন একটি অঞ্চল যা এটি তিব্বতীয়দের ঐতিহ্যবাহী স্বদেশ। পাশাপাশি কিছু অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী যেমন মনপা, তামাং, কিয়াং, শেরপা এবং লোবা সম্প্রদায়ের লোক এবং বর্তমানে হান চীনা এবং হুইয়েরও যথেষ্ট সংখ্যক জনগোষ্ঠীর বসবাস এখানে। চীন ১৯৫০ সালে তিব্বতের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল।

ভীতি প্রদর্শন এবং সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী তিব্বতিরা ১০ মার্চ 'তিব্বত বিদ্রোহ দিবস ২০২০' পালন করেছিল। কেন্দ্রীয় তিব্বত প্রশাসন (সিটিএ) পাঁচটি তিব্বতীয় এনজিও দ্বারা আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলের আগে তুষালগখানায় অনুষ্ঠান করেন। অনুষ্ঠান সফল করে তিব্বতের অভ্যন্তরে তিব্বতিরা প্রমাণ করে দিয়েছে যে, 'তারা বেইজিং দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে না। তারা চ্যালেঞ্জ নির্যাতনও সহ্য করতে পারবে না যা তারা গত ছয় দশক ধরে সহ্য করতে বাধ্য হচ্ছে।'

তিব্বতি যুব কংগ্রেস (টিওয়াইসি), তিব্বতী মহিলা সমিতি (টিডব্লিউএ), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অব তিব্বত (এনডিপিটি), গু- চু-সাম এবং শিক্ষার্থীদের জন্য মুক্ত তিব্বত (এসএফটি)-ইন্ডিয়া নামের সংগঠনগুলি এ অনুষ্ঠান ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে।

তিব্বতীয় বিদ্রোহ বা তিব্বতি বিদ্রোহ শুরু হয় ১৯ মার্চ, ১৯৫৯ সালে। তখন তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানী লাসায় বিদ্রোহ শুরু হয়। ১৯৫৬ সালে খাম ও আমদো অঞ্চলে তিব্বতি গেরিলাদের এবং পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত শুরু হয়। গেরিলা যুদ্ধ পরবর্তীকালে তিব্বতের অন্যান্য অঞ্চলেও বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে এবং এটি ১৯৬২ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই বিদ্রোহের বার্ষিকীটি তিব্বতবাসীরা 'তিব্বত বিদ্রোহ দিবস' হিসাবে পালন করেন।

 

 

বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর