সামনেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিধানসবার নির্বাচন। আগামী ২৭ মার্চ থেকে মোট আট দফায় রাজ্যের ২৯৪ বিধানসভার আসনে ভোট নেওয়া হবে। কিন্তু সেই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসে প্রধান মমতা ব্যানার্জির হাত শক্ত করতে এ রাজ্যে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন দল শিবসেনা।
বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সংসদীয় কমিটির বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলের জাতীয় মুখপাত্র ও রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত ট্যুইট করে জানান ‘বহু মানুষ জানার জন্য কৌতুহল হয়ে উঠেছেন যে পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন নির্বাচনে শিবসেনা প্রার্থী দিচ্ছে কি না? দলের সভাপতি উদ্ধব ঠাকরের সাথে আলোচনার পর দল এক সিদ্ধান্তে এসেছে। তা হল- বর্তমান পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে বোঝা যাচ্ছে যে বাংলায় দিদি বনাম বাকিদের লড়াই হচ্ছে। এখানে ‘এম’ অর্থাৎ মমতা দিদির বিপক্ষে সমস্ত ‘এম’ (মানি), পেশিশক্তি (মাসল) এবং গণমাধ্যম (মিডিয়া)-কে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গে শিবসেনা লড়াই করবে না, তবে মমতা দিদিকে সম্পূর্ণ সমর্থন জানানো হবে।’
মমতার সাফল্য কামনা করে সঞ্জয় রাউত আরও লেখেন ‘আমরা মমতা দিদির সাফল্যের জন্য তাকে শুভেচ্ছা জানাই, কারণ আমাদের বিশ্বাস মমতাই হলেন বাংলার আসল বাঘিনী।’
এক সময়ে ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট’ (এনডিএ)-এর অন্যতম শরিক দল ছিল শিবসেনা। কিন্তু ২০১৯ সালে তারা জোট ভেঙে বেরিয়ে যায় এবং কংগ্রেস ও এনসিপির সমর্থনে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করেন। ইতিমধ্যেই আরজেডি, এনসিপি, সমাজবাদী পার্টি মতো দলগুলি বাংলায় তৃণমূলকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে।
নির্বাচনের মুখে যেভাবে তৃণমূলের বহু নেতা, সাবেক মন্ত্রী দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে-তাতে বেশ বিপাকে পড়েছে ক্ষমতাসীন দল। এমন অবস্থায় তৃণমূলকে দেশের অন্য রাজনৈতিক দলগুলির সমর্থন দেওয়ায় মমতার দল কিছুটা অক্সিজেন পাবে তা বলাই যায়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন/আরাফাত