২০১৭ সালে শি তিব্বতী পশুপালকদের সীমান্ত এলাকায় বসতি স্থাপন এবং 'চীনা ভূখণ্ডের অভিভাবক' হওয়ার আহ্বান জানানোর পর 'সীমান্ত-গ্রাম' কর্মসূচি চালু করে চীন। গ্রাম ছাড়াও সামরিক সুবিধা স্থাপনাও নির্মাণ করছে দেশটি। এটি চীনের শির সম্প্রসারণবাদী কৌশলের একটি অংশ।
সম্প্রতি হংকংভিত্তিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, 'চীন সরকার বিতর্কিত হিমালয় এলাকাগুলোতে কমপক্ষে ৬২৪টি সীমান্ত গ্রাম নির্মাণ করতে চায়। দারিদ্র্য বিমোচনের অজুহাতে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি নির্মমভাবে তিব্বতী যাযাবরদের উৎখাত করছে এবং তাদের বিচ্ছিন্ন উচ্চতায় কৃত্রিম নতুন সীমান্ত গ্রামে বসতি স্থাপন করতে বাধ্য করছে।'
দক্ষিণ চীন সাগরের আগ্রাসনের নীতি অনুসরণ করেছিল হিমালয় এলাকাতেও তা ব্যবহার করছে বেইজিং। গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর ওপর আদিপত্য বিস্তারে সীমান্তভূমিতে অনেক নতুন গ্রাম নির্মাণ করছে। চীনের আঞ্চলিক দখলদারিত্ব বিশ্বের অন্যতম ক্ষুদ্রতম দেশ ভুটান বা এমনকি নেপালকেও রেহাই দেয়নি। চীনের এই কৌশলে ভারত, ভুটান এবং নেপালের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
চীন দক্ষিণ ও পূর্ব চীন সাগরে আধিপত্য সম্প্রসারণের জন্য উপকূলরক্ষী বাহিনী সমর্থিত বেসামরিক মাছ ধরার নৌকা নিয়োগ করেছিল। এবার হিমালয়ের নির্জন সীমান্ত এলাকায় নিয়মিত সৈন্য পাঠানোর আগে পশুপালক এবং গ্রাজিয়ার পাঠাচ্ছে চীন।
স্যাটেলাইট ছবি দেখা গেছে, হিমালয় সীমান্তে দ্রুত গ্রাম গড়ে তুলছে। সেই সাথে নির্মাণ করা হচ্ছে ব্যাপক নতুন সড়ক এবং সামরিক সুবিধা। নিকট ভবিষ্যতে চীনের সামুদ্রিক সম্প্রসারণ প্রতিধ্বনি হিমালয়ের পরিবেশ পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির