বিক্ষোভের জের ধরে পাকিস্তান সরকার গত শুক্রবার সে দেশের সকল সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অ্যাক্সেস বন্ধ করে দিয়েছিল। যদিও ওই দিন সন্ধ্যা নাগাদ আংশিক অ্যাক্সেস পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছিল। পাকিস্তানে ইসলামপন্থী একটি দলের সমর্থকদের সহিংস বিক্ষোভের মধ্যেই এ ধরনের পদক্ষেপ নেয় ইমরান খানের প্রশাসন।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সে দেশের টেলিকমিউনিকেশন অথরিটিকে (পিটিএ) নির্দেশনা দিয়েছিলেন, টুইটার, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব, টিকটক এবং টেলিগ্রাম বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে।
পাকিস্তানে টেলিযোগাযোগ সেবাদানকারী একটি সংস্থা জানিয়েছে, এসব প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে পিটিএ থেকে তারা নির্দেশনা পেয়েছেন।এদিকে বিক্ষোভকারীদের নেতা সাদ হোসাইন রিজভিকে গত সোমবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ পুলিশ আটক করে। ইসলামপন্থী ওই দলটির দাবি মেনে না নেওয়ার জেরে সহিংস বিক্ষোভ আরো বেড়ে যায়। সহিংসতায় অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে; তাদের মধ্যে দুজন পুলিশ সদস্য। এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের মন্ত্রিসভায় টিএলপিকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে সে দেশে সহিংস পরিস্থিতির মধ্যে ফ্রান্সের দূতাবাস তাদের দেশের নাগরিকদের পাকিস্তান ছেড়ে যাওয়ার কথা বলেছে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল