আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ভারতীয় ইয়োগা গুরু রামদেবের বিচার দাবি করেছে দেশটির চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)।
শনিবার (২২ মে) রামদেবের বিরুদ্ধে ১৮৯৭ সালের মহামারী আইনে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে চিঠি দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, অ্যালোপ্যাথি ওষুধ এবং আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে রামদেবের এই মন্তব্য মেনে নেওয়া হলে, দেশ থেকে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হোক।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে রামদেবকে বলতে শোনা যায়, ‘করোনা পরিস্থিতিতে দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছেন শুধু অ্যালোপ্যাথি ওষুধের জন্য। অক্সিজেন ঘাটতির কারণে বা চিকিৎসা না পেয়ে যত মৃত্যু হয়েছে, তার থেকে অনেক বেশি এই সংখ্যা।’ শুধু তা-ই নয়, অ্যালোপ্যাথিকে ‘দেউলিয়া হয়ে যাওয়া’ এবং ‘বোকা বোকা চিকিৎসা পদ্ধতি’ বলেও মন্তব্য করেন রামদেব।
রামদেবের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ভারতীয় চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে এক চিঠিতে জানিয়েছে, যদি সরকারি স্তরে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে গণতান্ত্রিক উপায়ে রামদেবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে চিকিৎসকরা। আইএমএ’র দাবি, মহামারী আইনের তিন নং ধারা প্রয়োগ করে মামলা করা হোক রামদেবের বিরুদ্ধে।
চিকিৎসকদের আরও অভিযোগ, ফ্যাভিপিরাভির ওষুধ নিয়ে রামদেবের করা মন্তব্য হাস্যকর এবং শিশুসুলভ। রামদেবের দাবিগুলো সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভূমিকার উপরও প্রশ্ন তোলে।
পাশাপাশি, রামদেব নিজের সংস্থার বিভিন্ন পণ্যের বিষয়ে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে মানুষজনকে বিভ্রান্ত করছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। কোরোনিল এবং স্বসারি ওষুধের প্রসঙ্গ টেনে আইএমএ বলেছে, পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রামদেব সবাইকে বোকা বানিয়ে যেকোনো উপায়ে টাকা উপার্জনের পথ খুঁজছেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর