সম্প্রতি বেইজিংয়ে সংবাদ সম্মেলনের এক বিবৃতিতে তিব্বতের দলীয় সম্পাদক উ ইংজি বলেন, 'প্রথমত আমাদের অবশ্যই চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্ব বজায় রাখতে হবে। ১৯৫১ সালে তিব্বতের শান্তিপূর্ণ মুক্তির পর থেকে শুধুমাত্র দলীয় নেতৃত্বের মাধ্যমেই তিব্বত সমৃদ্ধ উন্নয়নের পথে চলতে পারে।'
উ আরও বলেন, 'তিব্বত প্রাচীনকাল থেকে চীনের একটি অংশ ছিল। চীনা জাতিকে সবসময় এটি বজায় রাখতে হবে।'
এছাড়াও গত এক বছরে তিব্বতী সম্প্রদায়ের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন বেড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে অধিকার গোষ্ঠীগুলো তিব্বত নিয়ে এখন বেশি সোচ্চার। ডিসেম্বরে কংগ্রেস তিব্বত নীতি ও সমর্থন আইন পাস করে, যা তিব্বতীদের পরবর্তী দালাই লামা নির্বাচন করার অধিকারের পাশাপাশি তিব্বতী শহর লাসাতে একটি কনস্যুলেট প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানায়।
তিব্বতের নির্বাসিত কেন্দ্রীয় প্রশাসনের প্রেসিডেন্ট পেনপা শেরিং রয়টার্সকে বলেন, 'তারা চীনের সাথে শান্তিপূর্ণ সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু বেইজিংয়ের বর্তমান নীতি তিব্বতী সংস্কৃতির ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।'
অন্যদিকে, চীন এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার একটি প্রচেষ্টা। তবে চীন মনে করে দালাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন করার অধিকার তাদের রয়েছে।
প্রসঙ্গত, চীনা সৈন্যরা ১৯৫০ সালে তিব্বতে প্রবেশ করে এবং এক বছর পর চীনা সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই অঞ্চল এবং এর ধর্মপ্রাণ বৌদ্ধ তিব্বতীদের ওপর নিয়ন্ত্রণ অর্জন করে। ১৯৫৯ সালে চীনা শাসনের বিরুদ্ধে ব্যর্থ বিদ্রোহের পর ধর্মগুরু দালাই লামা তিব্বত থেকে পালিয়ে যান।
বিডি প্রতিদিন/ অন্তরা কবির