পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসি দাবি করেন, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকারের অধীনে ৫০ লাখের বেশি মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে।
সরকার ২০ মিলিয়ন মানুষকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে এবং বিদ্যুতের দাম ৬২ শতাংশেরও বেশি বাড়িয়ে ব্যয়ের বোঝা বাড়িয়েছে। দেশটির বিরোধী দলের প্রাক-বাজেট সেমিনারে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ফেডারেল সরকারের অর্থনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে গত ৩ বছর ধরে দলটি তীব্র সমালোচনা করে আসছে। নেতারা বলছেন, 'প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অর্থনীতির মৌলিক বিষয় সম্পর্কে কোনো জ্ঞান নেই এবং তিনি তার সভাসদদের পরামর্শের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সিদ্ধান্ত নেন। পাকিস্তানের অর্থনীতি ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সঙ্কুচিত হয়েছে। মানুষ একটি চুরি করা নির্বাচনের মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি উপহার পেয়েছে।'
পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নাওয়াজ (পিএমএল-এন) আরও দাবি করেন, লাইন কাটা ও বিদ্যুৎ চুরির কারণে আর্থিক ক্ষতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৫ শতাংশে। অন্যদিকে, সুই নর্দার্ন গ্যাস পাইপলাইনস লিমিটেড এবং সুই সাউদার্ন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড ‘দেউলিয়া’ হয়ে পড়েছে।
পিএমএল-এন সভাপতি শেহবাজ শরীফ বলেন, 'সরকারের বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় দলটি তাদের নিজস্ব বাজেট উপস্থাপন করবে। গত তিন বছরে ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের কারণে সাধারণ মানুষের পক্ষে সুষ্ঠু জীবনযাপন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য এই সরকারের অজ্ঞতাই দায়ী।'
অন্যদিকে, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল মন্তব্য করেন, 'ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকার অর্থনীতি নিয়ে ছেলে খেলা করছে। এ কারণে সরকার এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ঋণ ৪৫ হাজার বিলিয়ন রুপি বেড়ে গেছে। আমরা পাকিস্তানের জিডিপি ৬ শতাংশ বৃদ্ধি আশা করছিলাম, কারণ সরকার ১৫,০০০ বিলিয়ন রুপি ঋণ নিয়েছিল।'
জিও নিউজ জানিয়েছে, ইসমাইল আরও বলেন, পিটিআইয়ের করা ঋণ ২৫,০০০ বিলিয়ন রুপি থেকে বেড়ে এখন ৩৮,৬০০ বিলিয়ন রুপি হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির