আফগানিস্তানে তুর্কি সামরিক উপস্থিতিকে দখলদারিত্ব বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছে তালেবান। সংগঠনটির কাতার দফতরের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা মোল্লা খয়েরুল্লাহ খয়েরখা বলেছেন, তুরস্ক মুসলিম দেশ হওয়া সত্ত্বেও তাদের সেনা উপস্থিতিকে দখলদারিত্ব মনে করা হবে।
তিনি আরও বলেন, “ন্যাটো জোটের আওতায় যে দেশের সেনাই থাকুক, যারাই কাবুল সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন রাখবে তাদেরকেই দখলদার বিবেচনা করা হবে।”
এর আগে গত সপ্তাহে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছিলেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিদেশি সেনারা চলে যাওয়ার পর কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবে তার দেশ। কূটনীতিকদের নিরাপত্তা রক্ষা করার লক্ষ্যে তুরস্ক এ দায়িত্ব নিয়েছে বলে জানান এরদোগান।
এছাড়াও তালেবানের এই রাজনৈতিক নেতা আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কাতারে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনাকে প্রত্যাহার করতে হবে। ন্যাটো জোটের আওতায় আফগানিস্তানে আসা সব বিদেশি সেনা এই চুক্তির আওতায় পড়বে। সূত্র: পার্সটুডে
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর