অবশেষে স্বীকার করলেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র। যে গাড়িটি কৃষকদের চাপা দিয়ে চলে গেছে, সেটি তারই। তবে তার দাবি, গাড়িতে তার ছেলে ছিল না।
লখিমপুর খেরিতে স্লোগান দিতে দিতে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন কৃষকরা। হঠাৎ, একটি গাড়ি এসে তাদের ধাক্কা মেরে চলে যায়। এতে চারজন কৃষক মারা যান। এই ভিডিও সামনে আসার পর রীতিমতো আলোড়ন দেখা দিয়েছে। এবার অজয় মিশ্র স্বীকার করলেন, ওই গাড়িটি তার।
এনডিটিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অজয় মিশ্র বলেছেন, ''প্রথম দিন থেকে বলছি, গাড়িটি আমাদের। আমাদের নামে তার রেজিস্ট্রেশন আছে। আমাদের কিছু কর্মীকে নিয়ে আসার জন্য গাড়িটি যাচ্ছিল।''
তবে মন্ত্রীর দাবি, ওই গাড়িতে তিনি বা তার ছেলে ছিলেন না। তার ছেলে সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্য সভাস্থলে ছিল। সে অন্য একটি ইভেন্টের দায়িত্বে ছিল।
মন্ত্রী বলেছেন, ''আমি যা বলছি, তার সমর্থনে ছবি ও ভিডিও আছে। ছেলের ফোনের কল রেকর্ড চেক করা হোক। লোকেশন চেক করা হোক। তাছাড়া হাজার হাজার মানুষ সাক্ষ্য দেবে, আশিস মিশ্র কোথায় ছিল।''
মন্ত্রী আরো জানিয়েছেন, গাড়ির চালককে মারা হয়েছে। দুইজন কর্মীকে মারা হয়েছে। একজন কর্মী পালাতে পেরেছিল। তিনজন কর্মী আহত। তারপর গাড়িটি থেমে যায়। এরপর ওই গাড়িটি ও আরেকটি ফর্চুনার গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়। যারা এ কাজ করেছে, তারা কৃষক নয়। তাদের মধ্যে সন্ত্রাসীরা মিশে ছিল।
তবে যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, কংগ্রেস, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং বিজেপি সংসদ বরুণ গান্ধী যা শেয়ার করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, গাড়িটি ইচ্ছাকৃতভাবে কৃষকদের ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। তবে পুলিশ এখনো এই ভিডিও'র সত্যতা যাচাই করেনি।
কৃষক নেতারা জানিয়েছেন, তারা অরুণ মিশ্রের একটি ভাষণ নিয়ে খুবই ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাই তারা লখিমপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। মন্ত্রী ওই ভাষণে বলেছিলেন, তার মুখোমুখি হলে কৃষকদের শৃঙ্খলা শেখাতে দুই মিনিট সময় লাগবে।
মন্ত্রীর যুক্তি, ''আমার পুরো ভাষণ যদি দেখেন, তাহলে দেখবেন, আমি কৃষকদের সামনেই ভাষণ দিচ্ছিলাম। আমি বলেছিলাম, যারা ভারতমাতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ পোস্টার ছেঁড়ে, তারা কখনোই কৃষক নয়। আমি বলেছিলাম, কৃষকদের বদলাতে হবে, নাহলে পুলিশ ও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।''
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন