ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভগামী রুশ সৈন্যের বিশাল বহর তীব্র ঠাণ্ডার কবলে পড়তে পারে। এতে বহু রুশ সেনার মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আগামী কয়েক দিনের আবহাওয়া পূর্বাভাসের বরাতে ব্রিটিশ গণমাধ্যম এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, আগামী দিনগুলোতে তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রিতে নামতে পারে। আর্কটিক বাতাসের সঙ্গে পূর্বদিকের বাতাস মিলিত হওয়ার কারণে বুধবার তাপমাত্রা মাইনাস ২০ ডিগ্রিতে নামতে পারে।
কিয়েভ শহরের কেন্দ্র থেকে রুশ সেনারা ১৯ মাইল দূরে ট্যাঙ্কসহ ভারি অস্ত্র নিয়ে আটকা পড়েছেন। বরফময় আবহাওয়ায় অবস্থান করা রাশিয়ান সেনাবাহিনীর জীবনযাত্রার পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
বাল্টিক সিকিউরিটি ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্লেন গ্রান্ট বলেন, তীব্র ঠাণ্ডায় ট্যাঙ্কগুলোর ইঞ্জিন চালানো না হলে ধীরে ধীরে সেগুলো রেফ্রিজারেটরে পরিণত হতে পারে।
এই বিশেষজ্ঞের মতে—ট্যাঙ্কের মধ্যে অবস্থান করার অর্থই মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করা। সুতরাং মৃত্যু এড়াতে রুশ সেনারা অপেক্ষা না করে জঙ্গলের দিকে বেরিয়ে পড়বে। ‘ইঞ্জিন না চালালে ধাতব ট্যাঙ্ক একটি ফ্রিজমাত্র’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর মেজর কেভিন প্রাইস বলেছেন, ঠান্ডা আবহাওয়ায় ট্যাঙ্কগুলো ৪০ টনের ফ্রিজ বা তার থেকে বেশি কিছু। এমন আবহাওয়ায় রুশ সেনাদের মনোবল কমে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ প্রযুক্তি সংস্থা ম্যাক্সার গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কিয়েভ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে প্রথমে রুশ সেনাবাহিনীর বিশাল বহরের স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ করে।
যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দারা বলছেন, গত কয়েক দিন ধরে রুশ সেনাবহর খুব বেশি পথ অগ্রসর হতে পারেনি।
সর্বশেষ গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়ার বহরের অগ্রসরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই।
তবে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা রুশ সেনাবহরের স্থবিরতার প্রকৃত কারণ জানাতে পারেননি। তারা বলছেন, এটা যান্ত্রিক ত্রুটি, জ্বালানি ঘাটতি কিংবা ইউক্রেন সেনাদের প্রতিরোধের কারণে হতে পারে।
সূত্র: এক্সপ্রেসডটইউকে, ডেইলি মেইল, নিউজউইক
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল