ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের আলোচনা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
অ্যাক্সিওস নামে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যমের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা মনে করছেন দুই পক্ষের মধ্যেই অবস্থান নরম হতে দেখা গেছে।
রুশ পক্ষ বলছে তারা ইউক্রেনের সরকার পরিবর্তন করতে চান না, শুধুমাত্র বেসামরিকীকরণ করতে চান। এছাড়া পুতিন চান—বিচ্ছিন্ন অঞ্চল দোনেতস্ক এবং লুহানস্কের স্বীকৃতি দিক জেলেনস্কি।
বুধবার একই ধরনের ইঙ্গিত দেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। তিনি বলেন, ইউক্রেন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই।
বুধবার মস্কোতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জাখারোভা বলেন, রুশ সেনাদের লক্ষ্য ইউক্রেনের সরকারকে উচ্ছেদ করা নয়। ইউক্রেন দখল করা বা দেশটির বেসামরিক লোকজনের ক্ষয়ক্ষতির কোনো উদ্দেশ্য নিয়েও সেনারা এগোচ্ছে না।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য পদ পাওয়ার বিষয়টিতে আর জোর না দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, তিনি অনেক আগেই এ ব্যাপারে শান্ত হয়েছেন, যখন বুঝতে পেরেছেন, ইউক্রেনকে গ্রহণ করতে ন্যাটো প্রস্তুত নয়। তাই তিনি এখন আর ন্যাটোর সদস্য পদ পাওয়ার বিষয়টিতে জোর দিচ্ছেন না।
ন্যাটোর সদস্য পদ সম্পর্কে জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি এমন একটি দেশের প্রেসিডেন্ট হতে চান না, যে দেশ হাঁটু গেড়ে কিছু ভিক্ষা করে।
একই সঙ্গে জেলেনস্কি বলেছেন, পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের বিষয়ে একটা ‘আপস’ করার জন্য তিনি খোলামনে আছেন।
জেলেনস্কির সবশেষ এ অবস্থান মস্কোকে আপাতত শান্ত করার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে ন্যাটোর সদস্য পদ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের বিষয়ে জেলেনস্কির অবস্থান নমনীয় হওয়ার বিষয়টিকেও ইঙ্গিত করছে।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট কিছু সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলছে, রুশ প্রস্তাব ‘চুড়ান্ত’ এবং জেলেনস্কি এটা না মানলে রুশ বাহিনীর কিয়েভে তীব্র হামলার আশঙ্কা রয়েছে।
সূত্র: জেরুজালেম পোস্ট, ডেইলিস্টার
বিডি প্রতিদিন/কবিরুল