২৫ মে, ২০২২ ১০:২১

ঈশ্বরের কসম আমাদের মেরুদণ্ড কোথায়, বললেন ক্ষুব্ধ বাইডেন

অনলাইন ডেস্ক

ঈশ্বরের কসম আমাদের মেরুদণ্ড কোথায়, বললেন ক্ষুব্ধ বাইডেন

ঈশ্বরের কসম আমাদের মেরুদণ্ড কোথায়, বললেন ক্ষুব্ধ বাইডেন

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের উভালদে শহরের রব এলিমেন্টারি স্কুলে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এক শিক্ষকসহ ১৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

এ ঘটনার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, “কেন আমরা এই হত্যাযজ্ঞের সাথে বেঁচে থাকতে চাই? কেন আমরা এটি ঘটতে দিই? ঈশ্বরের কসম আমাদের মেরুদণ্ড কোথায়?”

“এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার সময়। আমরা অনেক কিছুই করতে পারি, আমাদের আরও অনেক কিছু করতে হবে,” বলে বাইডেন।

ক্ষুব্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “ঈশ্বরের কসম কখন আমরা আমরা বন্দুকের লবিতে দাঁড়াব?”

হোয়াইট হাউস থেকে তিনি বলেন,“আমি এতে অসুস্থ, ক্লান্ত হয়ে পড়ছি। আমাদের পদক্ষেপ হবে। আমাকে বলবেন না যে আমরা এই হত্যাকাণ্ডের উপর প্রভাব ফেলতে পারি না।”

যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র আইনের সমালোচনা করে বাইডেন বলেন, “একজন ১৮ বছর বয়সী বাচ্চা দোকানেই ঢুকেই দুটি আগ্নেয়াস্ত্র কিনতে পারে- এই ধারণা (নীতি) ভুল। এই ধরনের ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বিশ্বের অন্য কোথাও খুব কমই ঘটে।”

এদিকে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, “দেশজুড়ে বাবা-মায়েরা তাদের বাচ্চাদের বিছানায় শুইয়ে দেন, গল্প শোনান, গান শোনান- কিন্তু তাদের মনের মধ্যে চিন্তা, আগামীকাল তাদের বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে আসার পর, কিংবা কোনও মুদি দোকান বা খোলা জায়গায় নিয়ে যাওয়ার, তাদের সঙ্গে কী ঘটবে তা নিয়ে চিন্তায় থাকেন তারা।”

এ সময় নিহতদের পরিবারের প্রতি তিনি ও তার স্ত্রী মিশেলের পক্ষ থেকে “শোক” জানান ওবামা।

সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “স্যান্ডি হুকের প্রায় দশ বছর পর- এবং বাফেলোর দশ দিন পর- আমাদের দেশটি পঙ্গু হয়ে গেছে, ভয়ে নয়, কিন্তু একটি বন্দুক লবি এবং একটি রাজনৈতিক দল যারা এই ট্র্যাজেডিগুলো প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে, কিন্তু তারা এতে কোনও আগ্রহই দেখায় না।”

ওবামা বলেন, “পদক্ষেপ, যেকোনও ধরনের পদক্ষেপের জন্য ইতোমধ্যে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেছে।”

২০১৫ সালে, যখন তিনি ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ডেমোক্রেটিক এই প্রেসিডেন্ট গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, নতুন বন্দুক আইন সংস্কার করতে ব্যর্থ হয়েছে তার প্রশাসন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে এটি ছিল তার সবচেয়ে বড় হতাশা।

তিনি আর বলেছিলেন, “আমাদের জন্য এই সমস্যা সমাধান করতে না পারাটা ছিল কিছুটা দুঃখজনক।” সূত্র: বিবিসি

বিডিপ্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর