সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। এর আগে বৃহস্পতিবার আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করতে পূর্বঘোষণা ছাড়াই আবুধাবি পৌঁছান তিনি।
আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল-সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে আব্রাহাম অ্যাকর্ডস নামের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ঐতিহাসিক ওই চুক্তির মাধ্যমে দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু হয়। ওই চুক্তির পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আরব আমিরাত সফরে গেলেন বেনেট।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বেনেটের সফরকে আকস্মিক উল্লেখ করে জানিয়েছে, দুই দেশের শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন আঞ্চলিক সমস্যা’ নিয়ে আলোচনা করবেন।
এই সফরের আগে বেনেট পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরানের নিন্দা জানিয়ে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার আনা একটি প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। আইএইএ বোর্ড অব গভর্নরদের ৩০ সদস্যের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়ে তা অনুমোদন করে। শুধু রাশিয়া ও চীন ওই নিন্দা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়।
আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান তলে তলে পারমাণবিক কর্মসূচি চালাচ্ছে, এমন উদ্বেগ সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে সহায়তা করছে। গত মাসে ইসরায়েল ও আরব আমিরাতের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হয়। এর ফলে প্রথমবারের মতো কোনো আরব দেশের সঙ্গে বিনিময় হওয়া পণ্য বা সেবার ৯৫ শতাংশের বেশি শুল্ক মওকুফের সুযোগ পাবে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দুই দেশের মধ্যে গত বছর প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছিল।
সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রথম উপসাগরীয় দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে। এর আগে আরব বিশ্বের দেশ মিসর ও জর্ডানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করে ইসরায়েল।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল