হিজাব ইস্যুতে কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুর জেরে সৃষ্ট বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী এক তরুণীকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ এক মায়ের। নাসরিন সাকারামি নামে এই নারী অভিযোগ করে বলেছেন, তার মেয়ের শরীরে তিনি আঘাতের চিহ্ন দেখেছিলেন।
যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৬ বছর বয়সী নিকা সাকারামিকে ভবন থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকরা এই কাজ করেছে বলে নিরাপত্তা বাহিনীর সন্দেহ।
এদিকে শুক্রবার মাসা আমিনির ফরেনসিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আঘাতজনিত কারণে নয়, তার মৃত্যু হয়েছে অসুস্থতাজনিত কারণে। ২২ বছর বয়সী কুর্দি তরুণীর মৃত্যু কেন্দ্র করে ইরানে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে নজিরবিহীন বিক্ষোভ হচ্ছে। এই বিক্ষোভে দেড় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর হয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভে নিহতদের মধ্যে তরুণী নিকা সাকারামির মৃত্যু অন্যতম হাইপ্রফাইল ঘটনা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তেহরান থেকে এই তরুণী গত ২০ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হন। মৃত্যুর আগে বন্ধুদের কাছে সে জানায়, পুলিশ তাকে ধাওয়া করেছিল।
নিকার মা নাসরিন সাকারামি বলেন, নিকার ফুফুকে ‘ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে’ এমন বিবৃতি দিতে বাধ্য করা হয়।
তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, যে রাতে নিখোঁজ হয় সে রাতে নিকা নির্মাণাধীন ভবনে যায়। সেখানে আটজন নির্মাণকর্মী উপস্থিত ছিল। সকালে ভবন প্রাঙ্গনে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়, তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ভাঙা। তবে নিহতের মা বলছেন, ‘এটা ঠিক নয়। তিনি নিজে মেয়ের শরীর দেখেছেন। তার মাথার পেছনে বড় ধরনের আঘাত ছিল, খুলিতে গর্ত হয়েছিল।’ বিক্ষোভে যাওয়ার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল