২০১৯ সালের ডিসেম্বরে করোনা ভাইরাস শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের শুরু থেকে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (এনএইচসি) করোনায় সংক্রমিত হওয়ার তথ্য দৈনিক প্রকাশ করছিল। তবে স্থানীয় সময় রবিবার থেকে কমিশন এই তথ্য আর প্রকাশ না করার ঘোষণা দিয়েছে।
এনএইচসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গবেষণার জন্য করোনা-সংক্রান্ত তথ্য চায়নিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সরবরাহ করবে। তবে সিডিসি কত দিন পরপর কোভিড-সংক্রান্ত তথ্য হালনাগাদ করবে, তা জানানো হয়নি।
চীনে সম্প্রতি করোনায় সংক্রমণ বেড়েছে। দেশটিতে করোনা-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ জোরদার করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে সংকট বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সর্বশেষ বেড়ে যাওয়ার পর করোনাভাইরাসে সংক্রমণ হয়ে মৃত্যুর কোনো খবর দেয়নি এনএইচসি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর নিউমোনিয়া অথবা ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে মৃত্যু না হলে চীনে সেটিকে করোনায় মৃত্যু বলে ধরা হয় না। যদিও বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন।
ব্রিটিশভিত্তিক স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এয়ারফিনিটির সাপ্তাহিক হিসাব বলছে, চীনে গড়ে প্রতিদিন পাঁচ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। করোনায় সংক্রমিত হচ্ছেন ১০ লাখের বেশি মানুষ। নভেম্বরের শেষ দিকে চীনে করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড হতে থাকে। এনএইচসি এ মাসে উপসর্গবিহীন রোগীদের করোনা রোগী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেনি। ফলে করোনায় প্রকৃত রোগীর সংখ্যা নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সূত্র: আল জাজিরা
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল