পূর্ব ইউরোপের দেশ মলদোভাকে ‘রুশবিরোধী এজেন্ডা’ বাস্তবায়নের দায়ে অভিযুক্ত করেছে রাশিয়া।
মলদোভার প্রধানমন্ত্রী দোরিন রিসিয়ান তার দেশের রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত ট্রান্সনিস্ট্রিয়া অঞ্চলকে বেসামরিকীকরণের আহ্বান জানানোর পর মস্কো ওই অভিযোগ করল।
রিসিয়ানের আহ্বানের পরপরই ক্রেমলিন সোমবার এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, মলদোভাকে ‘রাশিয়াবিরোধী মৃগীরোগে’ ধরেছে।
ইউক্রেন ও রোমানিয়ার মধ্যবর্তী দেশ মলদোভার রুশপন্থিদের নিয়ন্ত্রিত সরু অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে মলদোভারই অংশ বলে স্বীকৃত। তবে ১৯৯২ সালের এক সংক্ষিপ্ত যুদ্ধের পর এটি একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রজাতন্ত্র হিসেবে অনেকটা স্বাধীনতা ভোগ করে আসছে। রুশপন্থি অস্ত্রধারীরা এটির নাম দিয়েছেন প্রিডনেস্ট্রোভিয়ান মলদোভিয়ান রিপাবলিক বা পিএমআর। মলদোভা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর থেকে সেখানে রুশ সেনা মোতায়েন করা হয়।
গতকাল সোমবার এক ঘোষণায় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “মলদোভার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এরইমধ্যে উত্তেজনাকর অবস্থায় পৌঁছে গেছে। দেশটির নেতৃত্ব সবকিছুতে রাশিয়ার গন্ধ খুঁজে পান। তারা মূলত রাশিয়াবিরোধী মৃগীরোগে ভুগছেন।”
পেসকভ আরো বলেন, “গঠনমূলক সংলাপে না বসলে মলদোভাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
পূর্ব ইউরোপের তুলনামূলক দরিদ্র দেশ মলদোভার মোট জনসংখ্যা ২৬ লাখ। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রুশ-ভাষাভাষী নাগরিক রয়েছেন। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে মলদোভার সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক ক্রমাগতভাবে খারাপ হচ্ছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, মলদোভাকে তার যেকোনো বক্তৃতার ব্যাপারে ‘অনেক অনেক সতর্ক’ থাকতে হবে।
তিনি গত সপ্তাহে মলদোভার প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি বক্তব্য উদ্ধৃত করেন যেখানে রিসিয়ান বলেছিলেন, রাশিয়াকে ট্রান্সনিস্ট্রিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারে বাধ্য করতে হবে। তিনি চলতি সপ্তাহে পার্লামেন্টে দেয়া এক বক্তব্যে বলেন, “ট্রান্সনিস্ট্রিয়া অঞ্চলকে অবশ্যই বেসামরিকীকরণ’ করতে হবে।
সূত্র : রয়টার্স।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত