ভ্লাদিমির পুতিনের সাক্ষাতের ছবিগুলো বিখ্যাত। সেগুলো দেখে মনে হবে, তিনি সত্যিই একটি দীর্ঘ টেবিল ভালোবাসেন। এক প্রান্তে থাকেন রাশিয়ান এই নেতা। অন্য প্রান্তে যার সঙ্গে পুতিন কথা বলেন, তিনি এতো দূরত্বে থাকেন যে; অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করতে পারেন, একজনের কথা আরেকজন শুনতে পান তো!
বুধবার পুতিন চীনের শীর্ষ কূটনীতিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু বরাবরের মতো এদিনের টেবিল দীর্ঘ ছিল না।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ওয়াং-ইর সঙ্গে সাক্ষাতে পুতিন হ্যান্ডশেক দূরত্বে বসে ছিলেন। আর মাঝখানে ছিল ডিম্বাকৃতির একটি টেবিল।
সাক্ষাতের ফুটেজ যখন প্রচার করা হয়, এটাকে রাশিয়ার ইচ্ছাকৃত প্রতীকী পদক্ষেপ হিসেবে দেখানোর প্রচেষ্টা বলে মনে হয়েছে। রাশিয়া বোঝাতে চেয়েছে, পুতিন বন্ধু রাষ্ট্রের প্রতিনিধির সঙ্গে খুব কাছে বসতে নিরাপদ মনে করেছেন।
অবশ্য চীনের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক সর্বদা এমন ছিল না। প্রতিবেশী সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে সম্ভাব্য পরমাণু যুদ্ধে নাগরিকদের রক্ষায় বেইজিং ভূগর্ভস্থ আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের নকশা করেছিল। কিন্তু এখন শি জিনপিং প্রশাসন রাশিয়াকে মার্কিন প্রভাবের সামনের সারির শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে।
উত্তর কোরিয়ার মতো রাশিয়া বিশ্ব থেকে বিচ্যুৎ একটি দেশ হতে পারে, তবে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূরাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করে মস্কো। ইউক্রেনে আক্রমণের আগে পুতিন বেইজিংয়ে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। তখন দুই নেতা ঘোষণা দেন, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার কোনো সীমা নেই।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল