সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রেফতার হওয়ার কিছুক্ষণ পর মুক্তি পেয়েছেন। নিউইয়র্কের ম্যানহাটান আদালত চত্বর ছেড়েছেন তিনি। আদালদত থেকে বের হওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলে নিউইয়র্ক থেকে সরাসরি ফ্লোরিডায় চলে যান ট্রাম্প। তবে আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেন ট্রাম্পের আইনজীবী জো টাকোপিনা। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আইনের শাসন মারা পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। খবর বিবিসি’র।
জো টাকোপিনা বলেন, আদালত অভিযোগ বাতিল না করায় প্রমাণ হয়েছে- এই দেশে আইনের শাসন মারা গেছে। কেউ যখন আইনের ঊর্ধ্বে নয়, তেমনি কেউ আইনের নিচেও নয়। যদি এই লোকটির নাম ডোনাল্ড জে ট্রাম্প না হতো, তাহলে আজ আমরা যা দেখছি, তা হয়তো দেখতে হতো।
অন্যদিকে ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট আইনজীবী আলভিন ব্র্যাগ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মামলাটি হচ্ছে অপরাধ ঢাকতে ৩৪টি ভুল স্টেটমেন্ট প্রসঙ্গে। নিউইয়র্কের আইন অনুযায়ী এগুলো শাস্তিযোগ্য অপরাধ, অতএব অপরাধের বিচার কার্যক্রম তুচ্ছ করে দেখব না আমরা।’
আলভিন ব্র্যাগ আরও বলেন, ‘দেখানো হয়েছে, আইনজীবী মাইকেল কোহেনকে আইনি সহায়তার পারিশ্রমিক হিসেবে। কিন্তু সেটা দেওয়া হয়নি, মূলত এটি সত্য নয়।’ ট্রাম্পের অপর আইনজীবী টড ব্ল্যাঞ্চে বলেন, ‘শুধু ট্রাম্প নয়, এ মামলায় যুক্ত প্রত্যেককে বিচারক এমন ভাষা ব্যবহার না করতে বলেছেন, যাতে সংঘাতকে উসকে দেওয়া হয়।’
এর আগে মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) ম্যানহাটানের আদালতে পৌঁছার পর ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে তাঁকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর বিচারকের সামনে হাজির করা হয়।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়েরের মধ্য দিয়ে এদিন থেকে শুরু হল যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ প্রদানের মামলার বিচারকাজ। আদালতে শুনানিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ৩৪টি অভিযোগ অস্বীকার করেন ট্রাম্প। আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন তিনি। আগামী ৪ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানিতে ট্রাম্পকে সশরীরে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিউ ইয়র্কের ম্যানহ্যাটন আদালতে এদিন ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ার প্রায় এক ঘন্টা পর ট্রাম্প আদালতকক্ষ ত্যাগ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক