১৫ মে, ২০২৩ ১৪:১১

তুরস্ক নির্বাচন: দ্বিতীয় দফা ভোটে জিতলে যে সমস্যায় পড়তে পারেন কিলিচদারোগলু

অনলাইন ডেস্ক

তুরস্ক নির্বাচন: দ্বিতীয় দফা ভোটে জিতলে যে সমস্যায় পড়তে পারেন কিলিচদারোগলু

কামাল কিলিচদারোগলু। সংগৃহীত ছবি

রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। কিন্তু এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে এককভাবে কোনও প্রার্থী জয়ী হতে পারবেন বলে মনে হচ্ছে না। এক্ষেত্রে আগামী ২৮ মে প্রেসিডেন্ট পদে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির বরাতে গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, রবিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৯৭.৯৫ শতাংশ (রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) গণনাকৃত ভোটের ৪৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ পেয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ ভোট। তুরস্কের সংবিধান অনুযায়ী, কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে রানঅফ বা দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে। এক্ষেত্রে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে এই ভোট। তুরস্কের নির্বাচনও সেই পথে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর তা হলে আগামী ২৮ মে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন।

দ্বিতীয় দফা ভোটে জিতলে যে সমস্যা পড়তে পারেন কিলিচদারোগলু

তুরস্কের ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত শহর গাজিয়ানতেপ থেকে রিপোর্টিং করছেন আল জাজিরার জেইনা খোদর। তিনি বলেছেন, বিরোধী নেতা কিলিচদারোগলু রান-অফ বা দ্বিতীয় দফা ভোটে জয়ী হলেও তার নেতৃত্বাধীন ‘ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স’ এর পক্ষে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় ফিরে আসা খুব কঠিন হবে।

কেননা, এক্ষেত্রে এরদোয়ান সংসদে নতুন জোট গঠন করতে পারেন। আর তা হলে হয়তো তিনি গণভোট বা নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানাবেন।

আল জাজিরার প্রতিবেদক খোদর আরও বলেন, বিরোধী দলের কিছু সদস্য আছেন যারা কিলিচদারোগলুকে নিয়ে হতাশ। তারা তাকে ভুল প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করেন। কারণ তিনি দল থেকে রক্ষণশীল ভোটগুলোকে টানতে পারেননি।

এছাড়াও তারা কুর্দিপন্থী এইচডিপির সাথে জোট নিয়েও প্রশ্ন তুলছে, যাকে তুর্কি সরকার পিকেকে-এর রাজনৈতিক শাখা বলে মনে করে। সূত্র: আল-জাজিরা

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর