ওয়াগনারের কাছ থেকে নিজ দেশের সেনাদের প্রশিক্ষণ নিতে চান বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। বেলারুশের জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এই কথা বলেন।
লুকাশেঙ্কো বলেন, ওয়াগনার যোদ্ধারা আমাদের দেশে নেই। কিন্তু যদি তাদের ইন্সট্রাকটররা আসে এবং আমাদের সেনাদের তাদের কম্ব্যাট অভিক্ষতার প্রশিক্ষণ দেয়, তাহলে আমরা সেটা গ্রহণ করব, আমি আগেও সেটা বলেছি।
উল্লেখ্য, রুশ সেনা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বিদ্রোহ ঘোষণা করেন ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। যোদ্ধাদের নিয়ে তিনি মস্কোর দিকে যাচ্ছিলেন। পরে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় তিনি ফিরে আসেন। ওয়াগনার প্রধান বর্তমানে বেলারুশে নির্বাসনে আছেন। তার সঙ্গে কিছু যোদ্ধাও আছে। তবে সেই সংখ্যা কত তা জানা যায়নি।
সম্প্রতি বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র রেখেছে রাশিয়া। এই অস্ত্র কখনও ব্যবহার করা হবে না বলে ভাষণে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো।
প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো বলেন, আমরা সামনে এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি করে এটা মনে করছি যে, এগুলো (অস্ত্র) এখানেই থাকতে হবে, একটি নির্ভরযোগ্য জায়গায়। আমি নিশ্চিত, এই পারমাণবিক অস্ত্র আমাদেরকে কখনও ব্যবহার করতে হবে না। আমাদের ভূখণ্ডে কোনো শত্রু কখনও প্রবেশ করবে না।
তবে প্রয়োজন পড়লে কিছু অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন লুকাশেঙ্কো। তিনি বলেছেন, সে রকম পরিস্থিতি হলে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন পড়বে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের মতো লুকাশেঙ্কোও বরাবরই তার দেশের ক্ষতির চেষ্টার জন্য পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছেন। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে পুরোদমে সমর্থনও করছেন তিনি।
দেশের ক্ষতির শঙ্কা থেকে মুক্ত থাকতে এবং আগ্রাসনের সম্ভাবনা ঠেকাতে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন লুকাশেঙ্কো।
সম্প্রতি বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করেছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদেশগুলো এর সমালোচনা করেছে।
তবে এর জবাবে পুতিন বলেছেন, এমন পদক্ষেপ নিয়ে ১৯৮৬ সালের পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি ভঙ্গ করেনি রাশিয়া। কারণ, এসব অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার হাতেই থাকবে। সূত্র: সিএনএন
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল