ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, তার দেশের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে অন্তত ২১ হাজার ভাড়াটে যোদ্ধা নিহত হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ওয়াগনার গ্রুপ ব্যাপক সংখ্যক সেনা হারিয়েছে বিশেষ করে পূর্ব ইউক্রেনে। সেখানে তার দেশের সবথেকে শক্তিশালী সেনাবাহিনীর দল যুদ্ধ করছে।’
জেলেনস্কি বলেন, শুধুমাত্র পূর্ব ইউরোপে আমাদের সেনারা ২১ হাজার ওয়াগনার যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। এছাড়া ৮০ হাজার ওয়াগনার যোদ্ধা আহত হয়েছে। তবে সিএনএন জেলেনস্কির এই দাবির সতত্য যাচাই করতে পারেনি।
খবরে বলা হয়েছে, এমন সময় জেলেনস্কি ওয়াগনার যোদ্ধাদের হতাহতের খবর দিলেন যখন গ্রুপটির প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন রাশিয়ার শীর্ষ সেনা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এক সপ্তাহ আগে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। পরে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় পিছু হটেন প্রিগোজিন। বর্তমান তিনি বেলারুশেই অবস্থান করছেন।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের কর্তৃত্বে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। যুদ্ধের ময়দানেও এটা প্রভাব ফেলেছে। এটা থেকে তার দেশের সেনাবাহিনী লাভবান হবে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদেরকে এই পরিস্থিতির সুযোগ নিতে হবে। এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে শত্রুদের আমাদের দেশের মাটি থেকে বিতাড়িত করতে হবে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা যুদ্ধে পরাজিত হচ্ছে। আর ইউক্রেনে একাধিক বিজেতা নেই। এ কারণে তারা একে অন্যকে দোষারোপ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কিকে প্রশ্ন করা হয়, জীবন নিয়ে তিনি বিপদের মধ্যে ছিলেন কিনা এবং হত্যা করা হতে পারে এমন শঙ্কাবোধ করেন কিনা। এর জবাবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সত্য বলতে আমার থেকে পুতিনের জন্য এটা অধিক ভয়াবহ। কারণ, একমাত্র রাশিয়া আমাকে হত্যা করতে চায়। অন্যদিকে সমগ্র বিশ্ব পুতিনকে হত্যা করতে চায়। সূত্র: সিএনএন
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল