৩ আগস্ট, ২০২৩ ০৮:৪৮

নির্বাচনের ফল বদলের চেষ্টা: শুনানির আগে আইনজীবীদের কটাক্ষ ট্রাম্পের

অনলাইন ডেস্ক

নির্বাচনের ফল বদলের চেষ্টা: শুনানির আগে আইনজীবীদের কটাক্ষ ট্রাম্পের

ডোনাল্ড ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিতর্ক-অভিযোগ যেন একে অন্যের পরিপূরক। অভিযোগ-বিতর্ক পিছুই ছাড়ছে না ট্রাম্পের। বুধবার (২ আগস্ট) ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফলে হস্তক্ষেপের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয় তার বিরদ্ধে। এ নিয়ে মাত্র চার মাসের মধ্যে তৃতীয়বার ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হলেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। আদালতে শুনানির আগে শুনানির আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কটাক্ষেড় শিকার হলেন আইনজীবীরা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১ আগস্ট) ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটি দাখিল করেছেন আইনজীবী জ্যাক স্মিথ। 

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) ট্রাম্পের শুনানির জন্য ওয়াশিংটন ডিসিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় এদিন বিকেল ৪টায় তার আদালতে হাজির হবার কথা রয়েছে। আদালতে হাজির হওয়ার ঠিক আগে আইনজীবীদের কটাক্ষ করলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা এই অভূতপূর্ব অভিযোগ মূলত প্রকাশ করেছে জো বাইডেনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের দুর্নীতি, কেলেঙ্কারি এবং ব্যর্থতাকেই। এর আগে, স্থানীয় সময় বুধবার (২ আগস্ট) নিউজার্সির বেডমিনস্টার থেকে তার ট্রুথ সোশ্যাল প্লাটফর্মে সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে ট্রাম্প লেখেন, এর আগে এতো সমর্থন আমি দেখিনি।  আরেক পোস্টে তিনি রিপাবলিকার প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক পেন্স ও ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডেসান্টিসের তীব্র সমালোচনা করেন। খবর বিবিসি'র

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণার চক্রান্ত করেছেন তিনি। নির্বাচনী প্রক্রিয়াতে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। এরপর নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করেছেন তিনি। আর সব শেষে নিজের অধিকারের অপব্যবহার করে ষড়যন্ত্র করেছেন। এই আবহে ট্রাম্পকে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) ফেডেরাল আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় ৪৫ পাতার অভিযোগপত্র জমা পড়েছে আদালতে। তাতে ট্রাম্প ছাড়াও ছয়জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি (চার আইনজীবী, একজন বিচার বিভাগের কর্মকর্তা এবং একজন রাজনৈতিক উপদেষ্টা) ষড়যন্ত্রকারীর তালিকায় রয়েছেন। এর আগে ঘুষকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

উল্লেখ্য, নির্বাচনে হেরে পদ ছাড়লেও নিজের সঙ্গে প্রশাসন সংক্রান্ত গোপন নথি নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এই আবহে বাইডেন প্রশাসন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে বলে জানা গেছে। এর আগে ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাসভবনে এফবিআই হানা দিয়েছিল। এই আবহে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শতাধিক গোপন নথি রাখার অভিযোগ সামনে আসে। আর এর প্রেক্ষিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাতটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়। আর তাই মায়ামির ফেডারেল আদালতে হাজির হওয়ার জন্য একটি সমন পান ট্রাম্প। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াই করার জন্য মুখিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। তবে পরপর আইনি জটিলতায় তার সেই স্বপ্ন ভাঙতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এরই মধ্যে ৪টি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় তার যাত্রাপথ আরও কঠিন হয়ে গেল।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর